প্রতিবেশি দেশ ভারতের ত্রিপুরায় গণপিটুনি দিয়ে তিন বাংলাদেশি নাগরিককে হত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সরকার। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে এই উদ্বেগ জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় জানায়, এই ধরনের নৃশংস ঘটনা মানবাধিকার ও আইনের শাসনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এই ঘটনার স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানিয়ে অপরাধীদের শনাক্ত করে বিচারের মুখোমুখি করতে ভারত সরকারের প্রতি অনুরোধ করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
একইসঙ্গে ভবিষ্যতে এমন অমানবিক ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের হবিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের (৫৫ বিজিবির) মিডিয়া সেল জানিয়েছে, গত বুধবার (১৫ অক্টোবর) ত্রিপুরা রাজ্যে তিন বাংলাদেশি নাগরিককে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করে স্থানীয়রা।
নিহতরা সবাই হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার বাসিন্দা। তারা হলেন– হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার আলীনগর গ্রামের মৃত আশ্বব উল্লার ছেলে জুয়েল মিয়া, বাসুল্লা গ্রামের কনা মিয়ার ছেলে পণ্ডিত মিয়া ও কবিলাশপুর গ্রামের কুদ্দুছ মিয়ার ছেলে সজল মিয়া।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) জানায়, মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের সীমান্তবর্তী বিদ্যাবিল এলাকা দিয়ে এই তিনজন ত্রিপুরার খোয়াইয়ের কারেঙ্গিছড়া এলাকায় প্রবেশ করেন।
বিজ্ঞাপন
তাদের পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) তারা ভারতে কাজের উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হন। ধারণা করা হচ্ছে, স্থানীয়রা তাদের ওপর হামলা চালায়। ঘটনাস্থলেই তারা মারা যান।
এক বিজ্ঞপ্তিতে বিজিবি জানিয়েছে, ঘটনাস্থলটি সীমান্তের শূন্যরেখা থেকে চার-পাঁচ কিলোমিটার ভেতরে, যা ভারতের ৭০-বিএসএফ ব্যাটালিয়নের আওতাধীন এলাকা।
এদিকে বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নিহত তিন বাংলাদেশি নাগরিকের মরদেহ হস্তান্তর করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। চুনারুঘাট থানা পুলিশের মাধ্যমে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে তারা।
এসএইচ/এফএ

