মঙ্গলবার, ১৪ মে, ২০২৪, ঢাকা

বায়ুদূষণ নিয়ে নির্দেশনার কপি পৌঁছায়নি পরিবেশ অধিদপ্তরে

সাকিব আবদুল্লাহ
প্রকাশিত: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১০:২১ এএম

শেয়ার করুন:

বায়ুদূষণ নিয়ে নির্দেশনার কপি পৌঁছায়নি পরিবেশ অধিদপ্তরে
ফাইল ছবি

রাজধানী ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণে ভুগছে। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়। বায়ুরমান উন্নয়নে সংশ্লিষ্টদের পরিকল্পনা চেয়ে সম্প্রতি নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট, যার কপি এখনো পরিবেশ অধিদপ্তরে পৌঁছায়নি। এই নির্দেশনা সামনের মাসে অধিদপ্তরে আসতে পারে বলে জানা গেছে।

দেশের কোন এলাকার বাতাস সবচেয়ে দূষিত, দূষণের উৎস চিহ্নিত করে তা কমাতে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও পরিবেশ অধিদপ্তরকে এই কর্মপরিকল্পনা দাখিলের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে অর্থ মন্ত্রণালয়, পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে সার্বক্ষণিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণ করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের উপযুক্ত স্থানে পর্যাপ্ত কন্টিনিউয়াস এয়ার মনিটরিং স্টেশন (সিএএমএস) স্থাপন করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। সাথে বিপজ্জনক ও অস্বাস্থ্যকর বায়ু থেকে জনগণকে রক্ষায় সতর্কতামূলক অ্যালার্ট পদ্ধতি চালু করতে বলা হয় ওই আদেশে।


বিজ্ঞাপন


বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও এস এম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন। বায়ুদূষণ রোধে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) রিটটি দায়ের করে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের আইন শাখার পরিচালক খোন্দকার মো. ফজলুল হক ঢাকা মেইলকে বলেন, বায়ুমান উন্নয়নে পরিকল্পনা চেয়ে হাইকোর্টের নির্দেশনার কথা আমরা পত্রিকায় দেখেছি। কপি এখনো অধিদপ্তরে আসনি। আসতে আসতে মার্চ মাস হয়ে যাবে।

এই কর্মকর্তা ঢাকা মেইলকে বলেন, বায়ুদূষণ নিয়ে আরেকটি মামলা হাইকোর্টে চলমান আছে। এটা করেছে হিউম্যান রাইটস অ্যাসোসিয়েশন। বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) এই বিষয়ে শুনানি আছে। এটার রায় এবং হাইকোর্টের সাম্প্রতিক নির্দেশনা হাতে পেলে কাজে নামবে অধিদপ্তর।

এই আইনজীবী বলেন. বিভিন্ন গবেষণায় বায়ুদূষণের কতগুলো উৎস চিহ্নিত করা হয়েছে এবং উৎসগুলোর বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তও আছে। যেমন―ইট পোড়ানো যাবে না। পোড়ানো ইটের বিকল্প ব্যবহার করা হবে, বিশেষ করে সরকারি স্থাপনাগুলোতে। কিন্তু সরকারের সে সিদ্ধান্তগুলো প্রতিপালিত হচ্ছে না। নির্মল বায়ু আইন পাস করলেও বিধি না হওয়ায় তা আটকে আছে। এই প্রক্রিয়ার মধ্যে আমার জীবন থেকে সাত বছর ঝরে যাচ্ছে। যে কারণে আমরা রুলসহ সাতটি অন্তর্বর্তী নির্দেশনা চেয়েছিলাম। আদালত তিনটি অন্তর্বর্তী আদেশসহ রুল দিয়েছেন। আগামী ২৬ জুন পরবর্তী আদেশের জন্য তারিখ রাখা হয়েছে।

বায়ুদূষণ নিয়ে জরিপ কী বলছে

দেশের বায়ুমান নিয়ে নিয়মিত জরিপ করে বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস)। চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি এক সংবাদ  সম্মলনে বায়ু দূষণ নিয়ে গবেষণার তথ্য প্রকাশ করেন। স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত গবেষণায় এ তথ্য উঠে আসে নানা তথ্য। যেখানে বলা হয়- গত ছয় বছরে ঢাকার মানুষ মাত্র ৩৮ দিন ভালো বায়ু গ্রহণ করেছে। আর বাকি অধিকাংশ দিন বায়ুর মান অস্বাস্থ্যকর থেকে দুর্যোগপূর্ণ ছিল।

রাজধানীর বাতাসকে বিষিয়ে তোলার জন্য সবচেয়ে বেশি (৩০ শতাংশ) দায় অপরিকল্পিতভাবে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি ও নির্মাণ কাজ। ২৯ শতাংশ দূষণের উৎস ইটভাটা ও শিল্পকারখানা। অন্যান্য উৎসগুলোর মধ্যে যানবাহনের কালো ধোঁয়া (১৫ শতাংশ), আন্তঃদেশীয় বায়ুদূষণ (১০ শতাংশ), গৃহস্থালি ও রান্নার চুলা থেকে নির্গত দূষণ (৯  শতাংশ) এবং বর্জ্য পোড়ানোর কারণে ৭ শতাংশ বায়ুদূষণ হয়ে থাকে বলেওগবেষণায় উল্লেখ করা হয়।

ক্যাপসের প্রকাশিত গবেষণা থেকে দেখা যাচ্ছে, রাজধানীর বায়ুদূষণের উৎসের একটি বড় বদল ঘটে গেছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের ২০১২ সালের জরিপ অনুযায়ী ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান উৎস ছিল ইটভাটা (৫৮ শতাংশ)। এর এক যুগ পর ২০২০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জরিপে বায়ুদূষণের মূল উৎস বলা হয় যানবাহন ও শিল্পকারখানার ধোঁয়াকে (৫০ শতাংশ)।

কিন্তু মাত্র এক বছরের মাথায় গত ২৭ জানুয়ারি প্রকাশিত ক্যাপসের গবেষণা বলছে, ঢাকার বাতাসে দূষিত বস্তুর উৎস হিসেবে ইটভাটা এবং যানবাহন ও শিল্পকারখানার ধোঁয়ার স্থান দখল করেছে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি আর নির্মাণ কাজ।

ক্যাপসের পরিচালক অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার বলেন, নগর পরিকল্পনায় ঘাটতি, আইনের দুর্বলতা ও আইন প্রয়োগে সীমাবদ্ধতায় ঢাকায় বায়ুদূষণ বেড়েই চলছে। ২০১৬ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ছয় বছরে ঢাকার মানুষ মাত্র ২ শতাংশ (৩৮ দিন) সময় ভালো বায়ু গ্রহণ করে। ২৬ শতাংশ (৫১০ দিন) চলনসই মানের বায়ু, ২৯ শতাংশ (৫৭৭ দিন) সংবেদনশীল বায়ু, ২২ শতাংশ (৪৪৩ দিন) অস্বাস্থ্যকর, ১৯  শতাংশ (৩৮৫ দিন) খুব অস্বাস্থ্যকর এবং ২ শতাংশ (৩৭ দিন) দুর্যোগপূর্ণ ছিল ঢাকার বায়ু।

আহমদ কামরুজ্জমান জানান, বিশ্বের বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী আন্তর্জাতিক সংস্থা এয়ার ভিজ্যুয়ালের হিসেবে ২০২০ সালের চেয়ে ২০২১ সালে ঢাকার বায়ুর মান ১২ শতাংশ খারাপ হয়েছে। ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে গড় বায়ুদূষণের পরিমাণ বেড়েছে ৯ দশমিক ৮ শতাংশ। অন্যদিকে ২০১৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরের থেকেও ২০২১ সালে গড় বায়ুদূষণের পরিমাণ বেড়েছে ৭ শতাংশ।

Air

ক্যাপসের তথ্য মতে, ঢাকা শহরে বিকাল ৪টার পর বায়ুর মান খারাপ হতে শুরু করে; যা রাত ১১টা থেকে ২টার মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছে। গত ছয় বছর রাত ১টায় বায়ুর মান ছিল ১৬২, যা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সর্বোচ্চ। রাত ১০টার পর উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গ থেকে মালবাহী প্রচুর ট্রাক ঢাকায় প্রবেশ করে। এগুলো থেকে ধুলার পরিমাণ বাড়ে। এছাড়া রাতে সিটি করপোরেশন ঢাকার রাস্তা ঝাড়ূ দেওয়ার নিয়ম চালুর পর থেকে বাতাসে ধূলাবালি বেশি উড়ছে।

বায়ুমান উন্নয়নে ১৫ সুপারিশ

বায়ুমান উন্নয়ন করতে বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) তিন ক্যাটাগরিতে পাঁচটি করে মোট ১৫টি সুপারিশ করেছে। সেগুলো হচ্ছে:
স্বল্পমেয়াদি পদক্ষেপ
১. শুষ্ক মৌসুমে সিটি করপোরেশন, ফায়ার সার্ভিস, ওয়াসা এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের সমন্বয়ে দূষিত শহরগুলোতে প্রতিদিন দুই থেকে তিন ঘণ্টা পরপর পানি ছিটানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
২. নির্মাণ কাজের সময় নির্মাণ স্থান ঘেরাও দিয়ে রাখতে হবে ও নির্মাণ সামগ্রী পরিবহনের সময় ঢেকে নিতে হবে।
৩. রাস্তায় ধূলা সংগ্রহের জন্য সাকশন ট্রাকের ব্যবহার করা যেতে পারে।
৪. অবৈধ ইটভাটাগুলো বন্ধ করে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার এবং বিকল্প ইটের প্রচলন বাড়াতে হবে।
৫. ব্যক্তিগত গাড়ি এবং ফিটনেসবিহীন গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। প্রয়োজনে নম্বর প্লেট অনুযায়ী জোড়-বিজোড় পদ্ধতিতে গাড়ি চলাচলের প্রচলন করা যেতে পারে।
মধ্যমেয়াদি পদক্ষেপ
৬. সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে প্রচুর পরিমাণ গাছ লাগাতে হবে এবং ছাদ বাগান করার জন্য সবাইকে উৎসাহিত করতে হবে।
৭. আলাদা সাইকেল লেনের ব্যবস্থা করতে হবে।
৮. দূষিত শহরগুলোর আশেপাশে জলাধার সংরক্ষণ করতে হবে।
৯. আগুনে পোড়ানো ইটের বিকল্প হিসেবে সেন্ড বক্ল এর ব্যবহার ক্রমান্বয়ে বাড়াতে হবে।
১০. সিটি গভর্নেন্সের প্রচলনের মাধ্যমে উন্নয়নমূলক কার্যকলাপের সমন্বয় সাধন করতে হবে। সেবা সংস্থার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড স্বল্প সময়ে সম্পন্ন করতে হবে।
দীর্ঘমেয়াদী পদক্ষেপ
১১. নির্মল বায়ু আইন-২০১৯ যতদ্রুত সম্ভব বাস্তবায়ন করতে হবে।
১২. পরিবেশ সংরক্ষণ ও সচেতনতা তৈরির জন্য পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক বাজেট বরাদ্দ বাড়াতে হবে। নিয়মিত বায়ু পর্যবেক্ষণ স্টেশন (ক্যামস) এর ব্যাপ্তি বাড়িয়ে ঢাকা শহরের সব এলাকাকে এর আওতাধীন করতে হবে। এছাড়াও বায়ুদূষণের পূর্বাভাস দেওয়ার প্রচলন করতে হবে।
১৩. গণপরিবহনসহ ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়ন করা।
১৪. সর্বোপরি সচেতনতা তৈরির জন্য বিভিন্ন গণমাধ্যমে বায়ুদূষণ সম্পর্কে আরও বেশি তথ্য নির্ভর অনুষ্ঠান প্রচারের ব্যবস্থা করার মাধ্যমে ঢাকাসহ সারা দেশের বায়ুদূষণের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে।
১৫. পরিবেশ ক্যাডার সার্ভিস এবং পরিবেশ আদালত চালু ও কার্যকর করতে হবে।

বায়ুদূষণে গড় আয়ু কমছে

ঢাকায় বায়ু দূষণ না থাকলে একজন নাগরিক আরও প্রায় সাত বছর সাত মাস বেশি বাঁচতে পারতেন। গত (১২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘বর্তমানে জনস্বাস্থ্যের প্রধান হুমকি বায়ু দূষণ; বায়ু দূষণ রোধে ধুলা দূষণ বন্ধ কর ও জ্বালানির মান উন্নয়ন কর’ শীর্ষক মানববন্ধনে বক্তারা এ কথা জানান। জনস্বাস্থ্যের প্রধান হুমকি বায়ুদূষণ উল্লেখ করে তা রোধ, ধুলাদূষণ বন্ধ এবং জ্বালানির মান উন্নয়নের দাবি জানান পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) সহ সমমনা ১৬ টি সংগঠন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ঢাকায় বায়ুদূষণ না থাকলে একজন নাগরিক আরও প্রায় সাত বছর সাত মাস বেশি বাঁচতে পারতো।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু প্রায় ৭২ বছর ছয় মাস। লাইফ ইনডেক্সের গবেষণার মতে, ১৯৯৮ সালে বায়ু দূষণের কারণে গড় আয়ু কমেছিল প্রায় দুই বছর আট মাস। ২০১৯ সালে বায়ু দূষণের কারণে সারাদেশে মানুষের গড় আয়ু কমেছে প্রায় পাঁচ বছর চার মাস। আর ঢাকায় কমেছে প্রায় সাত বছর সাত মাস। দেশের প্রত্যেক জেলাতেই বায়ুদূষণের হার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী অন্তত তিন গুণ বেশি।

বায়ুদূষণ রোধ করতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও তা পর্যাপ্ত নয়। অতিদ্রুত আইনানুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে স্বাস্থ্যঝুঁকিসহ পরিবেশ বিপর্যয় ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। ধুলা দূষণের উৎস চিহ্নিত করে ধুলা দূষণ বন্ধ করার কার্যকর পদক্ষেপ এবং দেশে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত নিম্নমানের কয়লা আমদানি বন্ধ করা ও তরল জ্বালানি হিসেবে নিম্নমানের ডিজেল, অকটেন, পেট্রোল বাজারে যাতে বিক্রি না হতে পারে তার কার্যকারী ভূমিকা পালনের দাবিও জানানো হয় ওই মানববন্ধনে।

বেশ কয়েকটি গবেষণা অনুসারে, বায়ু দূষণ ক্রমাগত বিশ্বব্যাপী মৃত্যু ও অক্ষমতার জন্য ঝুঁকির কারণগুলোর মধ্যে একটি। দীর্ঘদিন দূষিত বায়ুতে শ্বাস নেওয়ার ফলে একজন ব্যক্তি হৃদরোগ, শ্বাসযন্ত্রের রোগ, ফুসফুসের সংক্রমণ ও ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ুদূষণে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর মূলত স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী পালমোনারি রোগ, ফুসফুসের ক্যানসার ও তীব্র শ্বাসকষ্ট সংক্রমণের ফলে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে।

এসএ/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর