শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

নবম শ্রেণির জন্য ৫ কোটি ৫৫ লাখ বই কেনার প্রস্তাব প্রত্যাহার

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:৪৯ পিএম

শেয়ার করুন:

নবম শ্রেণির জন্য ৫ কোটি ৫৫ লাখ বই কেনার প্রস্তাব প্রত্যাহার
নবম শ্রেণির জন্য ৫ কোটি ৫৫ লাখ বই কেনার প্রস্তাব প্রত্যাহার। ফাইল ছবি

শিক্ষার্থীদের হাতে জানুয়ারিতে নতুন বই তুলে দেওয়ার লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে নবম শ্রেণির ৫ কোটি ৫৪ লাখ ৯০ হাজার ৮৬৯ কপি পাঠ্যবই মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের একটি প্রস্তাব আনা হলেও তা অনুমোদন দেয়নি সরকার।

রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে প্রস্তাবটি উপস্থাপন করা হলে আরও যাচাই-বাছাইয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ প্রস্তাবটি বৈঠক থেকে প্রত্যাহার করে।


বিজ্ঞাপন


বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, নতুন বই ১ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছাতে হবে। এরই মধ্যে কিছু অর্ডার দেওয়া হয়েছে। তবে আরও ভালোভাবে যাচাই করার জন্য আমরা বলেছি।

তিনি বলেন, এর আগে যারা বই পেয়েছিল, তাদের মান কেমন ছিল, কাগজের গুণগত মান কেমন ছিল, কেউ একাধিক অর্ডার নিয়ে মনোপলি করছে কি না—এসব বিষয় যাচাই-বাছাই করা হবে। আজকের বৈঠকে বই কেনার প্রস্তাব প্রত্যাহার করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, অনিয়মের কিছু অভিযোগ পাওয়া গেছে। যেমন, সঠিকভাবে কাজ না করা, একজন অর্ডার নিয়ে বাকিগুলো নিয়েছে ইত্যাদি। এসব প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যের নবম শ্রেণির পাঠ্যবই বিতরণের জন্য ৫ কোটি ৫৪ লাখ ৯০ হাজার ৮৬৯ কপি পাঠ্যবই মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের প্রস্তাব আনা হয়। এর ব্যয় ধরা হয়েছিল ৪৭৯ কোটি ৮২ লাখ ৪৪ হাজার ৯২৭ টাকা। প্রতিটি বইয়ের দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ৮৬ টাকা ৪৭ পয়সা।

সূত্র জানায়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের জন্য মাধ্যমিক (বাংলা ও ইংরেজি সংস্করণ) নবম শ্রেণি, দাখিল নবম শ্রেণি, এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনাল শ্রেণি এবং কারিগরি ট্রেড নবম ও দশম শ্রেণির বিনামূল্যের পাঠ্যবই মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের জন্য উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করা হয়। এতে ২৩৪টি দরপত্র আহ্বানের বিপরীতে ১৪৪টি প্রতিষ্ঠানের ৭১৮টি দরপত্র জমা পড়ে।

এর মধ্যে ৫৯৩টি দরপত্র কারিগরি ও আর্থিকভাবে গ্রহণযোগ্য হয়। সব প্রক্রিয়া শেষে দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি (টিইসি) ২২৩টি দরপত্রকে সর্বনিম্ন দরদাতার প্রস্তাব হিসেবে বিবেচনা করে। তবে এগুলো দাফতরিক প্রাক্কলিত দরের চেয়ে বেশি এবং বর্তমান বাজারদরের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায় দরদাতাদের কাছ থেকে জামানত হিসেবে ১০ শতাংশ নেওয়ার সুপারিশ করে।

পাঠ্যবই মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহে মোট ব্যয় হবে ৪৭৯ কোটি ৮২ লাখ ৪৪ হাজার ৯২৭ টাকা। বিষয়টি উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে উপস্থাপন করা হলে কমিটি তা আরও যাচাই-বাছাইয়ের নির্দেশ দেয়। 

এআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর