রাজধানীর লালবাগ এলাকায় ভিডিও ফাঁসের ভয় দেখিয়ে এক স্কুল শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে মেহেদী হাসান নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে লালবাগ থানা পুলিশ।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে লালবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন।
স্থানীয়রা জানান, অভিযুক্ত মেহেদী হাসান পাঁচ-ছয় বছর আগে ভুক্তভোগী স্কুল শিক্ষার্থীদের বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে ছিলেন। বর্তমানে তিনি লালবাগ শহিদনগর ৮ নম্বর গলিতে ভাড়া থাকেন এবং তিনি মোবাইল নেটওয়ার্কিংয়ের কাজ করেন। তার বাড়ি ভোলার সদর উপজেলার কচুয়া সাহামাদার এলাকায়।
বাদীর মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ৫ সেপ্টেম্বর রাত ৮টার দিকে তার মেয়ে বান্ধবী ও এক ছেলে বন্ধুর সঙ্গে গৌড় এ শহীদ মাজার এলাকায় হাঁটছিল। এসময় মেহেদী তাদের গোপনে ভিডিও ধারণ করে এবং ভিডিও ফাঁসের ভয় দেখিয়ে শিক্ষার্থীর মোবাইল নম্বর আদায় করে।
পরদিন ৬ সেপ্টেম্বর রাতে মেহেদী শিক্ষার্থীকে ফোনে দেখা করার জন্য চাপ দেয়। রাজি না হলে ভিডিও পরিবারকে দেখানোর হুমকি দিয়ে বলে, সে বাসায় এসে দেখা করবে এবং ভিডিও ডিলিট করে দেবে।
এরপর ৭ সেপ্টেম্বর ভোর ৫টার দিকে মেহেদী বাদীর অগোচরে বাসার দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে প্রবেশ করে। ভিকটিম চিৎকার করতে চাইলে মুখ চেপে ধরে ভয় দেখায় এবং ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। সকাল ৬টার দিকে কাউকে না জানানোর হুমকি দিয়ে বের হয়ে যায়।
বিজ্ঞাপন
ঘটনার পর থেকে শিক্ষার্থী কান্নাকাটি ও খাওয়া-দাওয়ায় অনিয়ম করতে থাকলে খালা রেশমা বেগম তাকে জিজ্ঞেস করেন। অনেক সংকোচের পর শিক্ষার্থী ঘটনার বিস্তারিত জানায়। এরপর পরিবার বিষয়টি জেনে থানায় মামলা দায়ের করে।
লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল খান জানান, ‘ঘটনার বিষয়ে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে মামলায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
একেএস/এএইচ

