ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নিজেদের রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ ও নির্বাচনের সময় বিচারিক ক্ষমতা চেয়ে দাবি তুলেছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) কর্মকর্তারা। সুষ্ঠু ভোট আয়োজন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এ দাবির পক্ষে কর্মশালায় যুক্তি উপস্থাপন করেন তারা।
গত সোমবার ও মঙ্গলবার দুদিনব্যাপী কর্মশালায় ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তারা সরাসরি এবং মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা অনলাইনে যুক্ত হন। এতে চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় নির্বাচনী আইন ও আচরণবিধি বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায় নিয়ে আলোচনা হয়।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, রিটার্নিং অফিসার, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাসহ ভোটের সঙ্গে সম্পর্কিত যাবতীয় কাজ সমন্বয় করাকে এক নম্বর চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আর সুষ্ঠু ভোট আয়োজনে নিজস্ব কর্মকর্তাদের রিটার্নিং অফিসার ও নির্বাচনের সময় বিচারিক ক্ষমতার দাবি জানিয়েছেন ইসি কর্মকর্তারা।
নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনি আইন ও আচরণবিধি বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায় খুঁজতে কর্মশালার আয়োজন করে ইসি। সোমবার ও মঙ্গলবার দুইদিনের কর্মশালায় ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তার সরাসরি এবং মাঠপর্যায়ের বেশিরভাগ কর্মকর্তা অনলাইনে যুক্ত হন। কর্মশালায় চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
কর্মশালায় বিষয়ে কথা হলে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, সুন্দর নির্বাচন আয়োজনই আমাদের লক্ষ্য। কর্মকর্তাদের এবার বেশি সম্পৃক্ত করা হবে। তবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো আইন-শৃঙ্খলা, রিটার্নিং অফিসার ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শিক্ষকসহ বিপুল জনবল সমন্বয় করা।
আখতার আহমেদ বলেন, কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে অতীতে তাদের কাজ করার সুযোগ দেওয়া হয়নি। এবার তাদের বিভিন্ন কাজে সম্পৃক্ত করার কথা ভাবা হচ্ছে।
প্রশিক্ষণ সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কর্মশালায় তফসিল ঘোষণার পর শোডাউন নিয়ন্ত্রণ, রাতে ম্যাজিস্ট্রেটের অনুপস্থিতি, মনোনয়ন জমায় নিয়ম ভঙ্গ, সরকারি সম্পদের ব্যবহার, অনুমোদনের বাইরে ক্যাম্প-মাইক, রিটার্নিং কর্মকর্তাদের পক্ষপাতিত্ব ও হেভিওয়েট প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্তহীনতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ইসি কর্মকর্তারা নিজেদের জনবল থেকে রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ ও নির্বাচনী সময়ে বিচারিক ক্ষমতা দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। রাজনৈতিক দল ও সংস্কার কমিশন থেকেও একই প্রস্তাব কমিশনে এসেছে।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয় জানতে চাইলে ইসি সচিব জানান, ইসি সচিব বলেন, বিষয়টি আলোচনায় এসেছে এবং বিবেচনায় রয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা অনুযায়ী ডিসেম্বরে তফসিল ও রমজানের আগে ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি।
এমএইচএইচ/ক.ম

