ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনন্য, উৎসবমুখর হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, এ নির্বাচন অন্তর্বর্তী সরকারের নয়, এ দেশের সব মানুষের ও সব রাজনৈতিক দলের। ভবিষ্যতের বাংলাদেশ নির্মাণ এই নির্বাচনের আকাঙ্ক্ষা।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সাতটি রাজনৈতিক দল এবং হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
বৈঠকের পর প্রধান উপদেষ্টার বরাত দিয়ে তার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বৈঠকে সুস্পষ্ট বলেছেন নির্বাচন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে হবে। সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দলের কাছে প্রধান উপদেষ্টা পরামর্শ চেয়েছেন।
প্রেস সচিব বলেন, ‘বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন আনন্দ ও উৎসবমুখরভাবে নির্বাচন হবে। জীবনে কখনও ভোট দিতে পারেনি তাদের জন্য এ নির্বাচনে ভালো অভিজ্ঞতা দিতে হবে। যারা ভোট দিতে গিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন পূর্বে তাদেরও ভালো অভিজ্ঞতা দিতে হবে। কেউ যেন বলতে না পারে যে, আমাকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি।’
মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘এবারের নির্বাচন অনন্য নির্বাচন। এটা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্বাচন নয়, এটা এ দেশের সকল মানুষের, সকল রাজনৈতিক দলের নির্বাচন। এই নির্বাচনের আকাঙ্ক্ষা হলো ভবিষ্যতের বাংলাদেশ নির্মাণের। এই নির্বাচন হবে নিজেদের পায়ে দাঁড়ানোর সাহস অর্জনের, নিজের ভঙ্গিতে দেশ পরিচালনার। এ নির্বাচনে অন্য কোন দেশের থাবা মারার কোনো সুযোগ যেন না থাকে। আমরা এই নির্বাচন আয়োজনে আপনাদের সর্বাত্মক সমর্থন চাই।’
নির্বাচন বানচালের আরও চেষ্টা হতে পারে বলে এমন আশঙ্কার কথা জানিয়ে মুহাম্মদ ইউনূস সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, ‘যারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নির্বাচন পর্যন্ত পৌঁছাতে দিতে চায় না, তারা যত রকমভাবে পারে বাধা দেবে। বাংলাদেশের সত্বাকে গড়ে তুলতে বাধা দেবে। তারা নির্বাচন বানচালের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে। এমন পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করবে, যাতে নির্বাচন না হয়। এগুলোর কিছু কিছু লক্ষণ এখন দেখা যাচ্ছে। সামনে আরও আসবে। এইজন্য আমাদের আরও সতর্ক হতে হবে।’
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় হওয়া এই বৈঠকে সাতটি দল অংশ নেয়। দলগুলো হলো- আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি, নাগরিক ঐক্য, গণসংহতি আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদ, এলডিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, জাতীয় গণফ্রন্ট। এছাড়া হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশও বৈঠকে অংশ নেয়।
গত রবিবার প্রধান উপদেষ্টা বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপি’র সঙ্গে বৈঠক করেন।
বিইউ/এমআর

