দেশের বিভিন্ন স্থানে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের অভিযানে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) রাজধানী ঢাকাসহ ঝিনাইদহ ও সিলেটে পৃথক তিনটি অভিযানে এসব অনিয়ম উদঘাটিত হয়েছে।
দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পরিচালিত এক অভিযানে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ‘লাইভস্টক ও ডেইরি ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’-এর দরপত্র প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ অনুসন্ধান করা হয়। টিম ওই প্রকল্প কার্যালয় থেকে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে। জানা যায়, প্রকল্পের সাবেক পরিচালক ইতোমধ্যেই অবসরে গেছেন, তবে বর্তমান প্রকল্প পরিচালকের বক্তব্য গ্রহণ করা হয়েছে। অভিযোগের বিষয়ে বিস্তারিত নথি ও প্রমাণপত্র দুদককে সরবরাহ করার জন্য বলা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট তথ্য-উপাত্ত যাচাই করে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করা হবে।
বিজ্ঞাপন
অন্যদিকে, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে জমি রেজিস্ট্রির কাজে ঘুষ দাবির অভিযোগে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের একটি দল অভিযান চালায়। অভিযানের সময় উপস্থিত সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে কথা বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়, দলিল রেজিস্ট্রেশনের দিনে সাব-রেজিস্ট্রারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা যোগসাজশে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে থাকেন। তবে তাৎক্ষণিক কোনো দালিলিক প্রমাণ পাওয়া যায়নি। সংগৃহীত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা শেষে বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিশনে পাঠানো হবে।
এছাড়া সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার ৫০ শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাসেবায় অনিয়ম ও রোগী হয়রানির অভিযোগে অভিযান চালায় দুদক। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রোগীদের যথাসময়ে খাবার দেওয়া হয় না এবং সরবরাহকৃত খাবারের মানও নিম্নমানের। পর্যাপ্ত সরকারি ওষুধ মজুদ থাকা সত্ত্বেও রোগীদের বাইরে থেকে ওষুধ কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে। একই সঙ্গে ওষুধ বিতরণেও অনিয়ম পাওয়া গেছে। হাসপাতালের কিছু কর্মচারীর বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগও ধরা পড়ে। বিশেষ করে একজন অ্যাম্বুলেন্স চালক দীর্ঘদিন একই পদে থেকে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং গাড়ির লগবই সঠিকভাবে হালনাগাদ করেননি। এসব কর্মকাণ্ড রোগীদের ভোগান্তি ও আর্থিক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলে দুদকের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে।
এমআই/এআর

