রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে একদিনে চার জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, এর মধ্যে তিনটি আত্মহত্যার ঘটনা এবং একটিতে নির্মাণ শ্রমিক কাজ করার সময় নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে নিহত হয়েছেন।
রোববার (২৪ আগস্ট) দিবাগত রাত ১২টায় মুগদায় সামিয়া আক্তার (১৫) নামের এক স্কুল শিক্ষার্থী তুচ্ছ ঘটনায় বকা দেওয়ায় বিষ পান করে আত্মহত্যা করেন। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। একই দিনে ডেমরা থানার আমান সিটি মুসলিম নগর এলাকার এবি টাওয়ারের ৭ম তলা থেকে রফিকুল ইসলাম নিলয় (২১) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
বিজ্ঞাপন
হাজারীবাগ থানার কালু নগর এলাকার একটি বাসা থেকে নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী লামিয়া আক্তার (১৬) গলায় ফাঁস দিয়ে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে মৃত ঘোষণা করা হয়। অন্যদিকে, রামপুরার মেরাদিয়া মাতুব্বর বাড়ি এলাকায় একটি নির্মাণাধীন ভবনের ৬ তলা থেকে শরিফুল ইসলাম (৩৫) নিচে পড়ে নিহত হন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. তৌহিদুল হক বলেন, তরুণ-তরুণীদের ক্ষেত্রে সম্পর্ক, অভিভাবকের সীমাবদ্ধতা ও সামাজিক বাধার কারণে তারা আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। অভিভাবকদের উচিত সন্তানদের সাথে নিয়মিত কথা বলা, তাদের মনোবল তৈরি করা এবং প্রাতিষ্ঠানিক ও সামাজিক নানা বিষয় নিয়ে আলাপ করা। তিনি বলেন, দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে মনোবিজ্ঞানী নিয়োগ দিয়ে শিক্ষার্থীদের সহায়তা করা উচিত, যাতে তারা হতাশা ও একাকিত্ব থেকে মুক্তি পেতে পারে।
একেএস/এআর

