রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার ওসি আলী ইফতেখার হাসানের বদলির খবরে এলাকাজুড়ে মিষ্টি বিতরণ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। রোববার (২৪ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টায় সরেজমিন ঘুরে এমন সব দৃশ্য দেখা যায়।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, মোহাম্মদপুরের সাবেক ওসি ইফতেখার হাসানের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত পুলিশ হেডকোয়ার্টারে প্রায় ৩৭টি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয়রা।
এর আগে কয়েক দফায় ভুক্তভোগীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ, মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আঁতাত ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ করে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে মামলা থেকে বাদ দেওয়াসহ নানা অভিযোগে থানার সামনে মানববন্ধন করেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় বাসিন্দা পারভেজ হোসেন সুমন বলেন, ‘আমরা আজকে মিষ্টি বিতরণ করেছি ওসি ইফতেখার হাসানের বিদায়ে। একটি ফ্যাসিজম থেকে বের হয়ে এসেছি, একটি দুষ্টু ওসির কবল থেকে মোহাম্মদপুর রক্ষা পেয়েছে। ভবিষ্যতে যেন মোহাম্মদপুরে কোনো পুলিশ প্রশাসন অপতৎপরতা না করতে পারে এবং পুলিশের সহায়তায় যেন মোহাম্মদপুর সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য হিসেবে গড়ে ওঠতে না পারে। তাকে বদলি করায় আমরা খুবই আনন্দিত।’

আরেক বাসিন্দা ইসমাইল মিয়া জানান, ‘দুষ্ট চক্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা রাখে- এমন একজন ওসিকে বদলি করায় এলাকাজুড়ে মিষ্টি বিতরণ করেছি। সাবেক ওসি আলী ইফতেখার সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী ও কিশোর গ্যাং চক্রের সদস্যদের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ রাখতো। যা মোহাম্মদপুরকে একটি সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য হিসেবে গড়ে তুলেছে। তাকে মোহাম্মদপুর থেকে বদলি করায় আমরা সাধারণ বাসিন্দারা সবচেয়ে খুশি হয়েছি।’
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ও বদলির বিষয়ে আলী ইফতেখার বলেন, ‘আমাকে সরকারি নিয়মে বদলি করা হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে যত অভিযোগ, সেগুলো বিভিন্ন সংস্থা তদন্ত করে সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নিতো। যেহেতু বদলির আদেশে কোনো কিছু উল্লেখ নেই, তাই আমি মনে করছি এটা স্বাভাবিক নিয়মেই বদলি করা হয়েছে।’
এর আগে রোববার (২৪ আগস্ট) ডিএমপি কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে ওসি ইফতেখারসহ তিনি পুলিশ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়।
এর মধ্যে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী ইফতেখার হাসানকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে (ডিবি), শাহ আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মো. রফিক আহমেদকে মোহাম্মদপুর থানায় এবং ডিএমপির পরিবহন শাখার পরিদর্শক মোহাম্মদ গোলাম আজমকে শাহ আলী থানায় বদলি করা হয়েছে।
এএইচ

