রাজধানীর বুড়িগঙ্গা নদী থেকে নারী, শিশু ও পুরুষসহ উদ্ধার হওয়া চারটি লাশের পরিচয় এখনো মেলেনি। তবে পরিচয় শনাক্তের কাজ চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রোববার (২৪ আগস্ট) বিকেলে ঢাকা মেইলকে বিযয়টি নিশ্চিত করেছেন নৌ-পুলিশ সদরঘাট থানার ইনচার্জ সোহাগ রানা।
বিজ্ঞাপন
পরিচয় শনাক্তে বিলম্ব হওয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘লাশগুলোর ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়ার মতো অবস্থা ছিল না। কারণ তাদের শরীর ও হাতের মাংসগুলো পঁচে গিয়েছে। তবে আমরা লাশগুলোর পরিচয় শনাক্তে কাজ করছি। মেসেজটি সকল বন্দরকে দেওয়া হয়েছে।’
এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় কেরানীগঞ্জের মাদারীপুর টিনের মসজিদ ঘাট এলাকা থেকে এক নারী ও এক পুরুষের হাত-পা বাধা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
তখন পুলিশ জানিয়েছিল, মরদেহগুলো দীর্ঘক্ষণ পানিতে থাকায় অর্ধগলিত হয়ে যাওয়ায় তাদের ফিঙ্গার প্রিন্ট নেওয়া সম্ভব হয়নি। এর ফলে প্রাথমিকভাবে তাদের নাম-পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।
বিজ্ঞাপন
তার আগে স্থানীয়রা দুপুর সাড়ে ১২টায় নদীতে ভাসমান অবস্থায় লাশ দুটি দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সেগুলো উদ্ধার করে। মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এছাড়া বরিশুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি এলাকায় আরও দুটি মরদেহ পাওয়া যায়। সেগুলোর ময়নাতদন্তের জন্যও মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়।
স্থানীয়রা বলছেন, সন্ধ্যায় পাওয়া মরদেহগুলোর সঙ্গে ৫০ কেজি ওজনের চালের বস্তা পাওয়া গেছে। যে বস্তার সঙ্গে হাত বেঁধে নারী ও পুরুষের মরদেহ নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছিল।
এর আগে দুপুরে বুড়িগঙ্গা নদীতে আধ ঘণ্টার ব্যবধানে নারী ও শিশুসহ আরও দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে সদরঘাট নৌ-পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, তারা মা-ছেলে। নারীর বয়স আনুমানিক ৩৫ বছর এবং শিশুটির বয়স ৩-৪ বছর।
এমআইকে/এএইচ

