রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহত শিক্ষিকা নিশি আক্তার ২১ বার অস্ত্রোপচারের পর জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন।
রোববার (২৪ আগস্ট) দুপুর দেড়টার দিকে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানান হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
বিজ্ঞাপন
সংবাদ সম্মেলনে বার্ন ইনস্টিটিউটের যুগ্ম পরিচালক ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. মারুফুল ইসলাম বলেন, শিক্ষিকা নিশি আক্তারের শরীরের অনেকাংশই পুড়ে গিয়েছিল। তাকে ২১ বার অস্ত্রোপচারে নেওয়া হয়েছে। শরীরের যেসব অংশ পুড়ে গিয়েছিল, সেগুলো পাঁচবার কেটে ফেলে দিতে হয়েছে। সেখানে স্কিন গ্রাফট করা হয়েছে। বর্তমানে নিশি আক্তার সুস্থ আছেন। তিনি নিজেই হাসপাতাল ছাড়তে চাইছিলেন। আমরা আজ তাকে ছাড়পত্র দিচ্ছি। তবে ফলোআপের জন্য প্রয়োজনে তিনি আবার আসবেন।
ডা. মারুফ আরও জানান, ইনস্টিটিউটে মোট ৫৭ জন রোগী এসেছিলেন। বর্তমানে ভর্তি আছেন ২১ জন। মারা গেছেন ২০ জন। আজ বয়োজ্যেষ্ঠ এক রোগী ছাড়পত্র পেয়েছেন। এখন ভর্তি থাকা রোগীদের সবাই শিশু, তাদের মধ্যে ২ থেকে ৩ জনের অবস্থা গুরুতর। তবে আইসিইউতে কেউ নেই।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষিকা নিশি আক্তার বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, আমি আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ, যিনি আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছেন। আমাদের চিকিৎসার জন্য ইনস্টিটিউটের পরিচালকসহ সকল চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্টাফদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। শুরু থেকেই তারা সার্বক্ষণিক আন্তরিকতার সঙ্গে পরিশ্রম করেছেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের কখনোই মনে হয়নি যে চিকিৎসায় কোনো ব্যাঘাত ঘটেছে। এমনকি বিমানবাহিনীর সদস্যদেরও ধন্যবাদ জানাচ্ছি, তারা শুরু থেকে আমাদের পাশে ছিলেন। তবে এই ঘটনায় যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।
বিজ্ঞাপন
সেদিনের দুর্ঘটনার বর্ণনা দিয়ে নিশি আক্তার বলেন, বাচ্চাদের ক্লাস শেষ করে সবে টিচার্স রুমে বসেছি। হঠাৎ বিকট শব্দ হলো। বাইরে এসে দেখি চারদিকে আগুন। ভয়াবহ দৃশ্য দেখে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলাম। এরপরের কিছুই আমার মনে নেই।
এআর

