শ্রমিকদের মানসম্মত মজুরি, অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার, কর্মসংস্থান ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে শ্রমিক ও কর্মচারীরা। এসময় চট্টগ্রাম বন্দর ইজারা, স্থায়ী কাজে আউটসোর্সিং নিয়োগ এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থার নয়া উদারীকরণ নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান জানান তারা।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের (স্কপ) ব্যানারে তারা এসব দাবি জানান।
বিজ্ঞাপন
সমাবেশে বক্তারা বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানো জরুরি হলেও বিদেশি অপারেটরের কাছে ইজারা দেওয়া জাতীয় স্বার্থবিরোধী। বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ-এর পরামর্শে কৌশলগত খাত বেসরকারিকরণ দীর্ঘমেয়াদে অর্থনৈতিক বৈষম্য ও সামাজিক অসন্তোষ বাড়ায়। এর পরিবর্তে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, প্রযুক্তি আধুনিকায়ন, দক্ষ জনবল গঠন এবং নীতিগত সংস্কারের সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান তারা।
বক্তারা বলেন, জুলাই আন্দোলনের চেতনা বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েও সরকার স্কপের ৯ দফা বাস্তবায়ন করেনি। বরং আউটসোর্সিং ও ঠিকাদারি নিয়োগ পদ্ধতি সম্প্রসারিত হচ্ছে, যা শ্রমিক শোষণ বাড়াচ্ছে। তারা আইএলও কনভেনশন অনুযায়ী গণতান্ত্রিক শ্রম আইন প্রণয়ন এবং জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ৩০ হাজার টাকা ঘোষণা করার দাবি জানান।
শ্রমিক নেতারা বন্ধ পাটকল, চিনিকলসহ সব কারখানা চালু করা, বকেয়া মজুরি আদায়ে দায়ীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা এবং বন্দর ইজারা বা করিডোর দেওয়ার উদ্যোগ বন্ধের দাবি জানান। অন্যথায় সরকারকে ‘জুলাই আন্দোলনের চেতনা ভঙ্গকারী’ হিসেবে চিহ্নিত করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা।
স্কপ নেতারা বলেন, ৯ সেপ্টেম্বর শ্রম উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান, সেপ্টেম্বরে বিভাগীয় সমাবেশ এবং অক্টোবরে ঢাকায় শ্রমিক মহাসমাবেশের মাধ্যমে দাবি আদায়ে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
বিজ্ঞাপন
আয়োজিত সমাবেশে স্কপের যুগ্ম সমন্বয়ক আব্দুল কাদের হাওলাদারের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সমন্বয়ক আহসান হাবিব বুলবুলের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন শ্রমিক নেতা মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ, আনোয়ার হোসেন, চৌধুরী আশিকুল আলম, রাজেকুজ্জামান রতন, সাইফুজ্জামান বাদশা প্রমুখ।
এএইচ/এফএ

