রোববার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

আদিবাসীরা সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১ আগস্ট ২০২৫, ১১:৫০ এএম

শেয়ার করুন:

আদিবাসীরা সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত

বাংলাদেশের সমতলভূমিতে বসবাসকারী আদিবাসীরা এখনও সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও রাষ্ট্রীয় ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। তারা বলেছেন, আদিবাসী হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি না থাকায় তারা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন নানাভাবে। ঐতিহ্যগতভাবে বসবাসরত ভূমি জোরপূর্বক দখল, দলিল জালিয়াতি ও প্রভাবশালী গোষ্ঠীর মাধ্যমে ঘর উচ্ছেদের ঘটনা অহরহ ঘটছে।

আজ সোমবার (১১ আগস্ট) রাজধানীর সিডরাপ মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। 


বিজ্ঞাপন


সেমিনারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, আমরা যে সংকট দেখতে পেয়েছি তা হল আদিবাসীদের অস্তিত্বের সংকট। আজ আমরা সেই অস্তিত্বের সংকট দেখতে পাই সমতলের আদিবাসী রাখাইন জনগোষ্ঠীর ভূমি বেদখলের মাধ্যমে। ২০০৭ সালে আদিবাসী অধিকার সনদ প্রণয়ন করা হয়, সেখানে ১১টি দেশ স্বাক্ষর করা থেকে বিরত ছিল। বাংলাদেশ তার মধ্যে অন্যতম।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আইনুন নাহার বলেন, বাংলাদেশে আধিপত্যশীল গোষ্ঠীর আদিবাসী জনগোষ্ঠীর প্রতি মনোভাব অত্যন্ত ভয়াবহ। যেখানে এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) ব্যবহার করে ভুল তথ্য তৈরি ও পরিবেশনের মাধ্যমে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সার্বিক সুরক্ষা ঝুঁকির মধ্যে পড়ে, সেখানে বাংলাদেশে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কীভাবে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখবে; এই বিষয়টা প্রশ্নবিদ্ধ।

এএলআরডি’র নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা বলেন, বাংলাদেশে অন্য দিবস যে মর্যাদায় পালিত হয়, সেই মর্যাদায় আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস পালন করতে হবে। আন্তর্জাতিক কনভেনশন, যেগুলো আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অধিকারের সঙ্গে সম্পর্কিত যেমন: আইএলও কনভেনশনের অনুচ্ছেদ-১৪১, ১৬৯ অনুস্বাক্ষর করতে হবে। বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন শুরু হওয়ার আগে প্রত্যেক অঞ্চলে, প্রতিটি ইউনিয়ন, প্রতিটি উপজেলা, প্রতিটি জেলায় নাগরিক কমিটি গঠন করতে হবে।

খুশী কবির বলেন, গত বছরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ফলশ্রুতিতে গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন পর্যায়ে বৈষম্য নিরসন এবং সংস্কার সাধনের লক্ষ্যে বিভিন্ন সংস্কার কমিশন তৈরি হয়। সেখানে অনেকের মতামত গ্রহণ করা হয়েছে, কিন্তু আমাদের সবার মতামত হয়ত সেখানে প্রতিফলিত হয়নি।


বিজ্ঞাপন


এছাড়া আলোচনায় অংশ নেন বিশিষ্ট সাংবাদিক সোহরাব হাসান, কাপেং ফাউন্ডেশনের নির্বাহী প্রধান পল্লব চাকমা, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনিন্দ্র কুমার নাথ প্রমুখ।

এমআর/এফএ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর