রোববার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

প্রতিটি আন্দোলনে মায়েদের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ: মৎস্য উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮ আগস্ট ২০২৫, ০৭:৫২ পিএম

শেয়ার করুন:

বিএলআরআই হলো দেশীয় প্রজাতির জিন ব্যাংক: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
বক্তব্য দিচ্ছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। ছবি: সংগৃহীত

আগামীর বাংলাদেশ গঠনে নারীদের প্রতিটি ক্ষেত্রে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেছেন, প্রতিটি আন্দোলনের পেছনে মায়েদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।

শুক্রবার (৮ আগস্ট) বিকেলে ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে জুলাই কন্যা ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘জুলাই কন্যা অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।


বিজ্ঞাপন


ফরিদা আখতার বলেন, নারীরা যোগ্যতা, কমিটমেন্ট ও আন্তরিকতার দিক থেকে এগিয়ে; তাই আগামীর বাংলাদেশে নারীরাই হবে মূল শক্তি।

1
নির্বাচিত জুলাইকন্যাদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন প্রধান অতিথি। ছবি: সংগৃহীত

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে থেকে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি কীভাবে জুলাইকন্যাদের সামনে নিয়ে আসা যায়। কিন্তু দুঃখজনকভাবে জাতীয় পর্যায়ের বড় বড় অনুষ্ঠানে তাদের যথাযথ স্থান দেওয়া হয় না। তিনি বলেন, আমরা এখনো দেখি, শহীদদের মা জাতীয় সঙ্গীত শুনতে শুনতে অশ্রুসিক্ত হন। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নারী যোদ্ধাদের সংখ্যা কম হলেও তাদের অবদান অবিস্মরণীয়।


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন: গণঅভ্যুত্থানে সাহসী নারীদের ভূমিকার প্রশংসা মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের

অতীতের বিভিন্ন আন্দোলনে নারীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ এবং ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান পর্যন্ত নারীরা সামনের সারিতে ছিলেন। কিন্তু স্বাধীনতার পর বা আন্দোলন শেষে নারীদের স্থান প্রান্তিক পর্যায়ে সীমাবদ্ধ করে দেওয়ার প্রবণতা ছিল, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, দেশের ৫১ শতাংশ নারীকে আর পেছনে রাখা যাবে না। অধিকার কেউ দিয়ে যায় না, তা আদায় করে নিতে হয়। জুলাই কন্যা ফাউন্ডেশনের মূল কাজ হওয়া উচিত—যেখানেই থাকুক, নারীদের অগ্রযাত্রা নিশ্চিত করা।

nari
চব্বিশের প্রতিটি আন্দোলনে নারীরা ছিলেন সম্মুখ সারিতে।

জুলাই কন্যা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি জন্নাতুল নাঈম প্রমীর সভাপতিত্বে আরও বক্তৃতা করেন শহীদ আবরার ফাহাদের মা, স্ট্যাম্পফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান টুম্পা, শহীদ নাঈমা সুলতানার মা এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত যোদ্ধা আইমান।

অনুষ্ঠানে ১০০ নির্বাচিত নারীর হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘জুলাই কন্যা অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। পাশাপাশি তাদের জীবন ও কর্মভিত্তিক সাফল্যের গল্প তুলে ধরা হয়, যাতে অন্য নারীরা অনুপ্রাণিত হতে পারেন। 

এমআর/এআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর