জনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতে আগামী শুক্রবার (৮ আগস্ট) থেকে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ও আশপাশের এলাকা এবং বাংলাদেশ সচিবালয় ও তার সংলগ্ন এলাকায় সব ধরনের সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
বুধবার (৬ আগস্ট) ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞাপন
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স ১৯৭৬ (অর্ডিন্যান্স নম্বর ওওও/৭৬) এর ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে আগামী ৮ আগস্ট থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ সচিবালয় ও এর আশেপাশের এলাকা, প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকা যেমন হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ক্রসিং, কাকরাইল মসজিদ ক্রসিং, অফিসার্স ক্লাব ক্রসিং ও মিন্টু রোড ক্রসিংয়ের মধ্যবর্তী এলাকায় সকল প্রকার সভা, সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল, মানববন্ধন, অবস্থান ধর্মঘট ও শোভাযাত্রা করা যাবে না।
এর আগে গত ৮ জুলাই ডিএমপির এক গণবিজ্ঞপ্তিতে যমুনা, সচিবালয় ও আশপাশসহ রাজধানীর কিছু এলাকায় সভা-সমাবেশ, মিছিল, মানববন্ধন, ধর্মঘট, শোভাযাত্রাসহ সবধরনের আন্দোলন নিষিদ্ধ করা হয়।
গত ৮ জুন বাংলাদেশ সচিবালয় এবং প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় যেকোনো প্রকার সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল ও শোভাযাত্রা ইত্যাদি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ডিএমপি।
এরও আগে ১৫ মে প্রধান বিচারপতির বাসভবনসহ রাজধানীর ৯ স্থানে সব ধরনের সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ প্রদর্শন নিষিদ্ধ করে ডিএমপি।
১৩ মার্চ বাংলাদেশ সচিবালয় ও প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় মিছিল, সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করে ডিএমপি।
গত ১৭ মে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর, ঢাকা সেনানিবাসসহ আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।
গত বছরের ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ নতুন নতুন দাবি তুলছেন। এসব দাবি নিয়ে কেউ কেউ প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে রওয়ানা করছেন। এতে রাজধানীতে সৃষ্টি হচ্ছে অচলাবস্থায়। পুলিশের পক্ষ থেকে বারবার এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা দিলেও আন্দোলনকারীরা তা খুব একটা আমলে নিচ্ছে না।
জেবি
