কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের বাছাইকৃত ক্যাডারদের প্রশিক্ষণের অভিযোগ ওঠেছে মেজর সাদেকুল হক সাদেক নামে এক সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। তাকে সরাসরি সহযোগিতা করছেন তার স্ত্রী বাংলাদেশ পুলিশের সহকারী সুপার (এএসপি) সুমাইয়া জাফরিন। তারা দুজনই বিনা নোটিশে ১৫০ দিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন।
ইতোমধ্যে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত আদালত গঠন করা হয়েছে। বিষয়টি এখন দেশজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। প্রশ্ন উঠেছে কে এই মেজর সাদেক। কী তার পরিচয়। কোথায় আছেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: আটক সেই সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত আদালত গঠন
যেটি সমন্বয় করেন সেনাবাহিনীর মেজর পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা। সূত্র থেকে জানা যায়, এই চক্রান্তের মূলহোতা সাদেকুল হক সাদেক নামে ওই মেজর এবং তার স্ত্রী বাংলাদেশ পুলিশের সহকারী সুপার (এএসপি) সুমাইয়া জাফরিন দুইজনই বিনা নোটিশে ১৫০ দিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন।
এরই মধ্যে মেজর সাদেকুল হক সাদেক নামের ওই কর্মকর্তাকে আটক করে হেফাজতে নিয়েছে সেনাবাহিনী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাদেক কক্সবাজারের রামু ক্যান্টনমেন্টে কর্মরত। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার ঢাকা সেনানিবাসে অফিসার্স মেসে প্রেস ব্রিফিংয়ে সেনা সদরের সামরিক অপারেশনস পরিদপ্তরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজিম-উদ-দৌলা বলেন, মেজর সাদেক সেনাবাহিনীর হেফাজতে আছেন। তার বিষয়ে তদন্ত চলছে। দোষ প্রমাণ হলে সেনাবাহিনীর প্রচলিত নিয়মে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের বাছাইকৃত ক্যাডারদের রাজধানীর মিরপুর, ভাটারা, কাটাবন ও পূর্বাচল এলাকায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এর মধ্যে গত ৮ জুলাই ভাটারা থানা এলাকার একটি কনভেনশন সেন্টারে সকাল থেকে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের প্রায় ৪০০ নেতাকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণ গ্রহণকারীদের দুই দিন আগেই একটি টোকেন সরবরাহ করা হয়। আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের এসব ক্যাডারদের প্রশিক্ষণের দায়িত্ব পালন করেন মেজর সাদেক।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: ‘ষড়যন্ত্রমূলক বৈঠকের তদন্ত চলছে, ৮ আগস্ট ঘিরে নিরাপত্তা শঙ্কা নেই’
গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, মেজর সাদেকের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছেন তার স্ত্রী সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সুমাইয়া জাফরিন। সাদেক ও সুমাইয়া কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার সময় শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে নেতাকর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছেন।
সরকার উৎখাতের এ পরিকল্পনার বিষয়টি কলকাতায় বসে সার্বিক তত্ত্বাবধান করছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তাকে সহযোগিতায় সেখানে রয়েছেন ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা ও পুলিশের সাবেক কর্মকর্তারা।
এ ছাড়া কৌশলগত সহযোগিতা করছেন দিল্লিতে অবস্থান করা পলাতক অতিরিক্ত আইজিপি ও পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) সাবেক প্রধান মনিরুল ইসলাম এবং ডিজিএফআইয়ের সাবেক প্রধান পলাতক লেফটেন্যান্ট জেনারেল মুজিবুর রহমান।
এআর

