জুলাই ঘোষণাপত্র, জুলাই সনদ দ্রুত বাস্তবায়ন এবং তা স্থায়ী বিধানে যুক্ত করার দাবিতে টানা ২৮ ঘণ্টা ধরে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন জুলাই যোদ্ধারা। শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুর ২টায়ও মোড়ে তাদের দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ‘জুলাই যোদ্ধা সংসদ’ নামে একটি প্ল্যাটফর্মের উদ্যোগে এ কর্মসূচি শুরু হয়। সেই হিসেবে বর্তমানে ২৮ ঘণ্টা হলো তাদের অবস্থান কর্মসূচি।
বিজ্ঞাপন
শাহবাগ মোড় অবরুদ্ধ থাকায় কাটাবন মোড়, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়, মৎস্যভবন মোড় ও শাহবাগ থানার সামনের সড়ক থেকেই যানবাহন অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুলিশ তাদের ব্যারিকেড সরাতে চাইলে অবরোধকারীদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়।

এছাড়া অনেকে মোটরসাইকেল নিয়ে এসে ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছিলেন। তাদের কেউ কেউ ক্ষোভ প্রকাশ করছিলেন। শুক্রবার (১ আগস্ট) তেমন ভিড় না থাকলেও শাহবাগ মোড় বন্ধ থাকায় ওই পথ দিয়ে চলাচলকারীরা পড়ছেন চরম ভোগান্তিতে।
সকাল থেকেই আন্দোলনকারীরা ‘জুলাই সনদ দিতে হবে, দিতে হবে, দিতে হবে’,‘টালবাহানা, চলবে না চলবে না’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
বিজ্ঞাপন
জুলাই যোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক আরমান শাফিন বলেন, ‘আমাদের দাবি আদায়ের ব্যাপারে সরকার ইতিবাচক কোনো সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। দেশের ৬৪ জেলা থেকে জুলাই শহিদ পরিবারের সদস্য এবং জুলাই যোদ্ধারা আমরা যার যার খাবারদাবার নিয়ে এসে এখানে বসেছি, যতক্ষণ পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত না আসবে, ততক্ষণ আমরা থাকব।’

অবরোধকারীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- জুলাই শহীদ ও জুলাই যোদ্ধাদের স্বীকৃতি, শহীদ পরিবার ও আহতদের আজীবন সম্মান, চিকিৎসা, শিক্ষা ও কল্যাণের পূর্ণ নিশ্চয়তা দেওয়া, শহীদ পরিবার ও আহতদের দায়িত্ব নেওয়া, আহতদের সকল চিকিৎসা, পুনর্বাসন, কর্মসংস্থান ও কল্যাণমূলক ব্যয় রাষ্ট্রকে বহন করা, আহত ও শহীদ পরিবারের জন্য আজীবন সম্মানজনক ভাতা নিশ্চিত করা, শহীদ পরিবার ও আহতদের জন্য বিশেষ আইনি সুরক্ষা ও সহায়তা কেন্দ্র গঠন করা, শহীদ ও আহতদের ওপর সংঘটিত দমন-পীড়নের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে বিচারকার্য সম্পন্ন করা এবং একটি স্বাধীন সত্য ও ন্যায় কমিশন গঠন করা।
এদিকে আরিফ মাহমুদ নামে এক পথচারী বলেন, ‘শাহবাগে নিয়মিত এমন আন্দোলন হওয়ায় ভোগান্তিও নিয়মিত হয়। এই এলাকায় বসবাস করছি। ছুটির দিনে বিরক্ত খুব বেশি না হলেও অফিসের দিনে এই আন্দোলন খুবই বাজে লাগে। এর প্রভাব অফিস থেকে সংসার সব জায়গায় পড়ে।’
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ মনসুর বলেন, ‘গতকাল থেকে তারা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান করছে। বৃষ্টির নামলেও তারা সরছে না। আন্দোলনের ফলে সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এএসএল/এএইচ

