রোববার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

১৫০০ একর  জলাধার উদ্ধারে ডিএনসিসির অভিযান

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৩১ জুলাই ২০২৫, ০৮:৪৪ পিএম

শেয়ার করুন:

১৫০০ একর  জলাধার উদ্ধারে ডিএনসিসির অভিযান

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) অনুযায়ী ঢাকা শহরের প্রায় ১৫০০ একর জলাভূমি ও জলাধার রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। রাজউকের সঙ্গে সমন্বয় করে এ লক্ষ্যে আজ বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযান শুরু করেছে ডিএনসিসি।

এরই অংশ হিসেবে রাজধানীর আফতাবনগর এলাকায় ড্যাপ কর্তৃক প্রস্তাবিত জলাধার রক্ষার্থে নির্ধারিত দাগভুক্ত জমিতে জমি ক্রয়-বিক্রয় কিংবা ভূমির ধরণ পরিবর্তন না করা সংক্রান্ত সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি সম্বলিত সাইনবোর্ড স্থাপন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।


বিজ্ঞাপন


সাতারকুল মৌজায় ১৮৭টি, বাড্ডা মৌজায় ১৭২টি এবং সুতিভোলা মৌজায় ১৮টি— মোট ৩৭৭টি দাগে ১৮৫ একর জলাভূমিতে সরকারি নিষেধাজ্ঞা সম্বলিত বিজ্ঞপ্তি বোর্ড স্থাপন করা হয়েছে।

এছাড়া ডিএনসিসি’র আওতাধীন অঞ্চলে ড্যাপের পরিকল্পনায় ঘোষিত জলাভূমির জমি হস্তান্তর না করার জন্য অভিযান পরিচালনা করা হবে এবং বিজ্ঞপ্তি বোর্ড স্থাপন করা হবে।

বিজ্ঞপ্তি সম্বলিত বোর্ড স্থাপন করে প্রশাসক বলেন, এই জলাধারগুলোতে আমরা যদি এখনই সাইনবোর্ড দেই তাহলে যারা এখানে প্লট কিনতে আসবেন তারা দেখবেন যে সরকারিভাবে এটাকে জলাধার হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে সাধারণ ক্রেতারাও জলাধার ভরাট করে গড়ে তোলা প্লট আর কিনবেন না।

ঢাকায় বিভিন্ন সময়ে পার্ক, জলাধার, দখল করে আবাসন তৈরি করা হয়েছে। ভূমির শ্রেণি পরিবর্তন করে বিভিন্ন অনিয়ম করা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


DNCC1

উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রশাসক বলেন, গত তিন দশকে আবাসন খাতে একটি অনৈতিক ও কালো অর্থনীতির ভিত্তি তৈরি হয়েছে। ভূমিকে পণ্য করে তোলা হয়েছে— একটি প্রয়োজনীয় সম্পদকে এমনভাবে বাজারজাত করা হয়েছে, যেন তা শুধু অবৈধ উপার্জনকারীদের নাগালের মধ্যে থাকে। যারা সৎভাবে রাজধানীতে বসবাস করেন, তাদের পক্ষে একটি ফ্ল্যাট বা প্লট কেনা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

তিনি আরও বলেন, এই অমানবিক অর্থনৈতিক কাঠামো— যা আমরা নিজেরাই তৈরি করেছি; আজ আমাদের নগর ব্যবস্থাকে অন্যায্যতার ফাঁদে ফেলেছে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম।

এসএইচ/এফএ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর