বাংলাদেশ ট্যুর অপারেটর ও ট্যুর গাইড (নিবন্ধন ও পরিচালনা) বিধিমালা- ২০২৪ সংস্কারের দাতিতে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে পর্যটন শিল্পের শীর্ষস্থানীয় বাণিজ্য সংগঠন ট্যুর অপারেটরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব)।
বুধবার (৩০ জুলাই) আগারগাঁয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের পর্যটন ভবনের প্রাঙ্গনে এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।
বিজ্ঞাপন
টোয়াবের সভাপতি মো. রাফেউজ্জামান বলেন, আমি ও টোয়াবের পরিচালকবৃন্দসহ বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সম্মানিত সচিব মহোদয় ও বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে বিভিন্ন সময়ে ট্যুর অপারেটর ও ট্যুরগাইড আইনের বিধিমালায় উল্লোখিত জামানত বাতিল, বাস্তবতা বিবর্জিত ও অসামঞ্জস্য ধারা এবং বিভিন্ন অসংগতি দূরীকরণের জন্য কয়েকবার সাক্ষাৎ করে এ ব্যাপারে লিখিত ও মৌখিকভাবে বিনীত অনুরোধ করেছি।
এছাড়া কয়েকটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। আমাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৬ মে বাংলাদেশ ট্যুর অপারেটর ও ট্যুর গাইড (নিবন্ধন ও পরিচালনা) আইন, ২০২১ এর আওতায় প্রণীত বাংলাদেশ ট্যুর অপারেটর (নিবন্ধন ও পরিচালনা) বিধিমালা- ২০২৪ এবং বাংলাদেশ ট্যুর গাইড (নিবন্ধন ও পরিচালনা) বিধিমালা- ২০২৪ পর্যালোচনার জন্য ১১ সদস্য বিশিষ্ট একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা গভীর আগ্রহে অপেক্ষা করেছি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সম্মানিত সচিব মহোদয়ের নির্দেশনা মোতাবেক বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের সিইও অতি শিগগির কমিটির মিটিংয়ের আয়োজন করবেন।

বিজ্ঞাপন
কিন্তু প্রায় ২ মাস অতিক্রম হলেও অদ্যাবধি এ বিষয়ে কোনো অগ্রগতি পরিলক্ষিত হয়নি। বিধিমালায় উল্লেখিত শর্তাবলী বহাল রেখেই ট্যুর অপারেটর ও ট্যুর গাইড (নিবন্ধন ও পরিচালনা) লাইসেন্স প্রদান কার্যক্রম চলমান, যা ট্যুর অপারেটরদের জন্য ভীষণ হতাশার। এই জন্য ট্যুর অপারেটরদের স্বার্থে আজকে আমাদের এই কর্মসূচি।
আশা করব, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড আমাদের দাবি মেনে নিয়ে প্রয়োজনীয় সংস্কারের সুপারিশ করে ট্যুর অপারেটর ও ট্যুর গাইডদের নিবন্ধন করতে সহায়তা করবে। আমরা প্রয়োজনীয় সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম বন্ধ রাখার দাবি জানাই।
শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে টোয়াবের সভাপতি মো. রাফেউজ্জামানের নেতৃত্বে টোয়াবের প্রথম সহসভাপতি, সহসভাপতি, সদ্য সাবেক সভাপতি, টোয়াবের পরিচালক, উপদেষ্টা, টোয়াবের বিভিন্ন সদস্য, আঞ্চলিক ট্যুর অপারেটর ও টোয়াবের কোম্পানি সচিবসহ কর্মকর্তারা অংশ নেন।
বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে বিদ্যমান ট্যুর অপারেটর ও ট্যুর গাইডদের নিবন্ধন ও পরিচালনা করার নিমিত্ত ২০২১ সালে ট্যুর অপারেটর ও ট্যুর গাইড (নিবন্ধন ও পরিচালন) আইন প্রণীত হয়েছে। এ আইনের আলোকে ২০২৪ সালের ২৮ মার্চ বাংলাদেশ ট্যুর অপারেটর ও ট্যুর গাইড (নিবন্ধন ও পরিচালনা) বিধিমালা ২০২৪ প্রণীত হয়েছে।
বিধিমালা প্রকাশ হওয়ার পর দেখা যায়, ট্যুর অপারেটর ও ট্যুর গাইড (নিবন্ধন ও পরিচালনা) লাইসেন্স আবেদনের ক্ষেত্রে ৩ লাখ টাকা জামানত, ১০ লাখ টাকা ব্যাংক স্থিতির সার্টিফিকেট ও ৫০ হাজার টাকা নিবন্ধন সনদ ফি প্রদান করতে হবে, যা বাস্তবতা বিবর্জিত হওয়ার কারনে ট্যুর অপরেটরদের জন্য সম্ভবপর হবে না। একই মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন অন্য লাইসেন্সের ক্ষেত্রে এই শর্তগুলো বিদ্যমান নয়।
এমআইকে/এএইচ

