রোববার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

সিইসি ও অন্য কমিশনারদের নিয়োগ বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে: আলী রীয়াজ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৩ জুলাই ২০২৫, ০৫:২০ পিএম

শেয়ার করুন:

Ali Riaz
ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলের বৈঠক শেষে ব্রিফ করছেন আলী রীয়াজ।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ১৮তম দিনের আলোচনায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং অন্য কমিশনারদের নিয়োগ বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলীয় রীয়াজ।

বুধবার (২৩ জুলাই) দুপুরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দিনব্যাপী আলোচনা শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।


বিজ্ঞাপন


আলী রীয়াজ বলেন, ‘বিদ্যমান সংবিধানের ১১৮ (১) সংশোধন করে নতুন সংশোধিত প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে। সংশোধিত প্রস্তাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং আইনে নির্ধারিত সংখ্যক নির্বাচন কমিশনার সমন্বয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন কমিশন থাকবে।’

তিনি বলেন, ‘স্পিকারের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি বাছাই কমিটি গঠিত হবে। এই কমিটি বিদায়ী নির্বাচন কমিশনের প্রধান এবং অন্যান্য কমিশনারদের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিন আগে পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য কমিশনারদের নিয়োগ করার উদ্দেশে সংসদে প্রণীত আইনের দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে ‘ইচ্ছাপত্র’ ও প্রার্থীর সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি আহ্বান করাসহ নিজস্ব উদ্যোগে উপযুক্ত প্রার্থী অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।’

ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি বলেন, ‘স্পিকারের নেতৃত্বে বাছাই কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হবেন বিরোধী দলীয় ডেপুটি স্পিকার, প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলের নেতা ও প্রধান বিচারপতির প্রতিনিধি হিসেবে আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি।

আলী রীয়াজ জানান, ‘এই কমিটি আইনের দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে অনুসন্ধানে প্রাপ্ত ব্যক্তিদের জীবন বৃত্তান্তগুলো স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় যাচাই-বাছাই করে, সর্বসম্মতিক্রমে তাদের মধ্য থেকে একজনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্ধারিত প্রতিটি পদের বিপরীতে একজন করে নির্বাচন কমিশনার হিসাবে নিয়োগের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাবেন। রাষ্ট্রপতি তাদেরকে কার্যভার গ্রহণের তারিখ থেকে পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য নিয়োগ দেবেন।’


বিজ্ঞাপন


তিনি জানান, ‘স্পিকারের তত্ত্বাবধানে জাতীয় সংসদ সচিবালয় এই কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে। বিদায়ী কমিশনের মেয়াদ শেষ হলে অথবা অন্য কোনো কারণে পদ শূন্য হলে পরবর্তী দিন থেকে নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনাররা দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।’

আলী রীয়াজ আরও বলেন, ‘এছাড়া আজকের আলোচনার পর জাতীয় সংসদ কর্তৃক নির্বাচন কমিশনের ওপর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পৃথক আইন ও আচরণবিধি প্রণয়নের বাধ্যবাধকতা সংযুক্ত করা হয়েছে। তবে বিদ্যমান সংবিধানের উপানুচ্ছেদ ২, ৩, ৪, ৫ ও ৬ অপরিবর্তিত থাকবে।’

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আজকের আলোচনায় বাংঅংশ নেয় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি, সিপিবি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও এবি পার্টিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা।

বৈঠকে কমিশনের সদস্য হিসেবে বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. মো. আইয়ুব মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন।

এএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর