সিলেট-সুনামগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যায় ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ৫৪ কোটি টাকার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি। এছাড়া বন্যাকবলিত জেলাগুলোতে তাদের পাঁচ শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক উদ্ধার কার্যক্রমে নিয়োজিত রয়েছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
বুধবার (২২ জুন) বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এতে বলা হয়, চলমান বন্যায় ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ৫৪ কোটি টাকার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। আন্তর্জাতিক ফেডারেশন অব রেড ক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিজের (আইএফআরসি) মাধ্যমে সকল রেড ক্রস, রেড ক্রিসেন্ট মুভমেন্ট পার্টনারদের ওই সহায়তা দেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছে। এসব ত্রাণ কার্যক্রমের মধ্যে- খাদ্য ও জীবিকায়ন, পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন এবং গৃহ মেরামত সহায়তা অন্যতম।
সহায়তা কার্যক্রম তুলে ধরে বলা হয়, বন্যায় পানিবন্দি দুর্গত মানুষকে সহায়তা দিতে কাজ করছে ক্রিসেন্ট সোসাইটির পাঁচ শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক। তারা সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোণাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যাকবলিত মানুষদের নিরাপদে আশ্রয়কেন্দ্রে পৌঁছে দিয়ে সেখানে শুকনো ও রান্না করা খাবার, বিশুদ্ধ পানি সরবারহ করছে সোসাইটির পক্ষ থেকে।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. নূর-উর-রহমান জানিয়েছেন, ‘বন্যাকবলিত দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে রেড ক্রিসেন্ট সরকারের সঙ্গে একাত্ম হয়ে কাজ করছে। এই মুহূর্তে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে বন্যায় সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়ার জন্যও কাজ করছে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সোসাইটির পক্ষ থেকে বন্যা দুর্গতদের সহায়তা দিতে এরইমধ্যে ১৫ হাজার পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, ৭ হাজার ২০০ প্যাকেট শুকনো খাবার, ১ হাজার ২০০ জেরিকেন, ১ হাজার ডিগনিটি কিট, ৫০০ হাইজিন পার্সেল, ৫০টি লাইফ জ্যাকেট পাঠানো হয়েছে। সিলেট ও সুনামগঞ্জে তিনটি ভ্রাম্যমাণ পানি বিশুদ্ধকরণ ইউনিটের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ শুরু করেছে। যার মাধ্যমে প্রতিদিন ২০ হাজার লিটার বিশুদ্ধ পানি বিতরণ সম্ভব হবে। এছাড়াও জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় উদ্ধার কাজে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে সরাসরি কাজ করছে সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবকগণ।
বিজ্ঞাপন
এমএইচ/এইউ
