শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

বাদ পড়া প্রতিবন্ধীদের জনশুমারিতে অন্তর্ভুক্তির দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২২ জুন ২০২২, ০১:১৫ পিএম

শেয়ার করুন:

বাদ পড়া প্রতিবন্ধীদের জনশুমারিতে অন্তর্ভুক্তির দাবি

বাংলাদেশে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নির্ভরযোগ্য কোনো পরিসংখ্যান নেই। বিভিন্ন উৎস থেকে পাওয়া তথ্যের মধ্যেও রয়েছে অসামঞ্জস্য। এমতাবস্থায় সদ্য শেষ হওয়া জনশুমারি ও গৃহগণনা কর্মসূচিতেও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সঠিকভাবে অন্তর্ভুক্ত হয়নি বলে দাবি করছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা অ্যাকসেস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনসহ সমমনা কয়েকটি সংগঠন। আরও দুই-তিনদিন সময় নিয়ে বাদ পড়া প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের তথ্য যথাযথভাবে গণনায় নিয়ে আসার আহ্বান জানান তারা।

বুধবার (২২ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়। অ্যাকসেস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ছাড়াও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সংগঠন ডিসিএফ, এনসিডিডাব্লিউ, সীতাকুণ্ড ফেডারেশন, টার্নিং পয়েন্ট ও ডাব্লিউডিডিএফ এই সংবাদ সম্মেলনের যৌথ আয়োজক ছিল। সংবাদ সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য দেন-অ্যাকসেস বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক আলবার্ট মোল্লা।


বিজ্ঞাপন


সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বাংলাদেশে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নির্ভরযোগ্য কোনো পরিসংখ্যান নেই। বিভিন্ন উৎস থেকে পাওয়া তথ্যের মধ্যেও রয়েছে অসামঞ্জস্য। যেমন- জনশুমারি ২০১১: ১.৪১%, খানা আয়-ব্যয় জরিপ ২০১০: ৯.০৭%, খানা আয় ব্যয় জরিপ ২০১৬: ৬.৯৪%, প্রতিবন্ধিতা শনাক্তকরণ জরিপ ২৫ লাখ ৭৯ হাজার ৩৯৯ জন (২১ জুন ২০২২ পর্যন্ত)। জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২১ আমাদের জন্য একটি বড় সুযোগ হিসেবে দেখা দেয়। কারণ এই গণনায় যদি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা সঠিকভাবে অন্তর্ভুক্ত হয় তাহলে নির্ভরযোগ্য তথ্যের যে অভাব ছিলো তা দুরীভূত হবে।

এই লক্ষ্যে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সাথে বিগত আড়াই বছর ধরে বিভিন্ন সভা ও কর্মশালার আয়োজন, সুপারিশ প্রদান ও টেকনিক্যাল সাপোর্ট দিয়ে এসেছে।

গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো আমাদের লিখিতভাবে গত আমাদের জানায় যে, শুমারির মাস্টার ট্রেইনারগণের প্রশিক্ষণে প্রতিবন্ধিতা বিষয়ক সেশন থাকবে, প্রশিক্ষণে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণের ব্যবস্থা থাকবে, শুমারির প্রশ্নপত্রে আইনের আলোকে প্রতিবন্ধিতার ধরণ যুক্ত করা হবে। এছাড়াও প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত মডিউলেও আমাদের সুপারিশ বিবেচনায় আনে।

জনশুমারিতে তথ্য সংগ্রহের উপর প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সংগঠনের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আমরা আশাবাদী ছিলাম, ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ থেকে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের একটি সঠিক সংখ্যা পাওয়া যাবে যার ফলে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা সরকারের পরিকল্পিত উন্নয়নে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবে। অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে, এই শুমারি থেকে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সঠিক তথ্য পাবার সম্ভাবনা দেখছি না। কারণ সারাদেশে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সংগঠনের পর্যবেক্ষণ থেকে আমরা যে তথ্য পেয়েছি তাতে দেখা গেছে তথ্য সংগ্রহকারীরা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের তথ্য সঠিকভাবে সংগ্রহ করেনি। 


বিজ্ঞাপন


সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- অ্যাকসেস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন মহুয়া পাল, ডাব্লিউডিডিএফের নির্বাহী পরিচালক আশরাফুল নাহার মিষ্টি প্রমুখ।

এসএএস/এএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর