বহুল আলোচিত রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতাল এলাকায় সোহাগ নামে এক ব্যবসায়ীকে পাথর দিয়ে থেঁতলে হত্যার ঘটনায় জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার শেখ মোহাম্মদ সাজ্জাত আলী।
বুধবার (১৬ জুলাই) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি। ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেফতারকৃতদের ব্যাপারে ও নেপথ্যের ঘটনা তুলে ধরতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
বিজ্ঞাপন
শেখ সাজ্জাত আলী বলেন, ‘এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সবাইকে আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসব। এই ধরনের নৃসংশ হত্যাকাণ্ড যাতে পুরনায় না ঘটে সেজন্য দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত করা হবে।’
এসময় তাকে খুনিদের রাজনৈতিক পরিচয় রয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কোনো ব্যক্তি যে কোনো সংগঠন বা রাজনৈতিক দলের কর্মী হতেই পারেন সেটার সঙ্গে তো এই ঘটনার সংশ্লিষ্টতা নেই।
ডিএমপি কমিশনার ঘটনার সময় কী ঘটেছিল তা তুলে ধরে বলেন, ‘ঘটনার সময় ট্রিপল নাইনের মাধ্যমে চকবাজার থানা পুলিশ খবরটি পায়। এরপর তারা দ্রুত সেখানকার পুলিশ ফাঁড়িকে বিষয়টি জানালে সেখান থেকে সরোয়ার নামে এক পুলিশ সদস্য দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে।’
কিন্তু অনুসন্ধানে জানা গেছে, সেদিন পুলিশ অনেক সময় পর ঘটনাস্থলে হাজির হয়। সেখানে গিয়ে পুলিশ সদস্য সরোয়ার দেখতে পান। পরে মাহমুদুল হাসান মহিন ও রনিনকে গ্রেফতার করে। পরে প্রত্যক্ষদর্শী ও সিসি ক্যামেরা দেখে আরও সাতজনকে গ্রেফতর করা হয়।
বিজ্ঞাপন
এদিকে পাথর ছুঁড়ে মারা সেই ব্যক্তিকে শনাক্ত করে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার নাম রেজোয়ান উদ্দিন অভি। তিনি একজন ধর্মান্তরিত মুসলিম। এই ঘটনায় পাথর নিক্ষেপকারীসহ মোট নয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তথ্য পাওয়ার চেষ্টা অব্যাহত আছে।
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, মামলা দায়ের ও এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিভিন্ন সামাাজিক মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হয়েছে। এ ঘটনার পর প্রথমে মামলা দায়েরের জন্য তার প্রথম স্ত্রী লাকী আকতার থানায় আসেন। কিছুক্ষণের মধ্যে নিহতের সৎ ভাই রনিও থানায় আসেন। এরপর মনজু আরা নামে নিহতের আরেক আপনজন এসে মামলা করার আগ্রহ প্রকাশ করে। তখন তার কাছে আগের মামলার খসড়া তুলে ধরা হয়। শেষে মামলার এজাহার থেকে পাঁচজনের নাম বাদ দিয়ে নতুন করে একজনের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
এমআইকে/ইএ

