বহুল আলোচিত রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতাল এলাকায় সোহাগ নামে এক ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় নেপথ্যের কারণ জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ বলছে,এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে চোরাই অ্যালুমিনিয়াম তারের ব্যবসার দ্বন্দ্ব ছিল। সেই কারণে সোহাগকে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে অন্যতম কারণ ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব ও কোন্দল।
আলোচিত এই ঘটনায় নয়জনকে গ্রেফতারের পর ঘটনায় বুধবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার এসএন নজরুল ইসলাম।
বিজ্ঞাপন
নির্বাচনকে ব্যাঘাত ঘটনানোর জন্য পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটনানো হয়েছে কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে এমনটি মনে হয়নি। এটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব। এই দ্বন্দ্ব থেকেই হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়েছে। এটি নির্বাচনকে প্রভাবিত করা বা সরকারকে বেকায়দায় ফেলানোর জন্য বা অন্য কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে এই হতাকাণ্ডটি ঘটেনি। আমরা তদন্তে এমন তথ্য পেয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই হতাকাণ্ডের নেপথ্যে চাঁদাবাজি নয়, ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব ছিল। আগের রেজিমের হাজি সেলিমের ভাতিজা পিল্লু কমিশনারের ছত্রছায়ায় তারা সেখানে অ্যালুমিনিয়াম তারের (পল্লী বিদ্যুতের ক্যাবলে থাকা অ্যালুমিনিয়াম) ব্যবসা করতো। তারা চুরি হওয়া পল্লী বিদ্যুতের তারের ভেতরে থাকা অ্যালুমিনিয়াম ব্যবসায়ীদের কাছে তারা বিক্রি করতো।
চক্রটি গত ১৭ বছর ধরে এ কাজ করে আসছিল।’
এসএন নজরুল ইসলাম বলেন, হত্যাকারীরা গত ৫ আগস্টের পর ভোল পাল্টিয়ে বিপরীত গ্রুপে চলে আসে। এ নিয়ে দ্বন্দ্ব বাধে। হত্যাকারীরা একে অপরকে চিনে ও জানে। ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব ও কোন্দল থেকে এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে।
এমআইকে/ইএ

