মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্র্বতী সরকারের কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘প্রকল্প পরিচালক নিয়োগের জন্য অনেক কর্মকর্তা নানা উপায়ে তদবির করেন। যে কোনো ধরণের তদবির অযোগ্যতা হিসেবে ধরা হবে।’
বিজ্ঞাপন
বুধবার (২ জুলাই) রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে কৃষি মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নাধীন প্রকল্প মূল্যায়ন সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন কৃষি উপদেষ্টা।
সভায় সভাপতিত্ব করেন কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান।
উপদেষ্টা তার বক্তব্যে টপ সয়েল রক্ষা, সারের ব্যবহার কমানো, কৃষি জমি নষ্ট করে স্থাপনা নির্মাণ না করা, প্রকল্পের কেনাকাটায় দুর্নীতি না করাসহ বিবিধ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালকদের নির্দেশনা দেন।
সভা শেষে কৃষি উপদেষ্টা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় বাজার পরিস্থিতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘চাল আমদানি ও অভ্যন্তরীণ ফলন ভালো হলেও বাজারে দাম বাড়তি। সরকার চেষ্টা করছে তা নিয়ন্ত্রণে আনতে। গণমাধ্যমের সহযোগিতা এ ক্ষেত্রে অত্যন্ত জরুরি।’
বিজ্ঞাপন
দুর্নীতি দমনে সরকারের অবস্থান তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, ‘দুর্নীতির লাগাম এখনো পুরোপুরি টেনে ধরা না গেলেও কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
কৃষিভিত্তিক প্রকল্প নিয়ে তিনি বলেন, ‘জুন মাসে যেসব প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। সেগুলো বাস্তবায়নের ফলে কৃষকরা কতটা উপকৃত হবেন, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
পাশাপাশি বৃষ্টির পানি ধরে রাখা ও খাল খনন, পেঁয়াজ সংরক্ষণে এয়ার ফ্লো ভিত্তিক সংরক্ষণাগার ও মৌসুমি সবজি সংরক্ষণে মিনি কোল্ড স্টোরেজ, বীজ আলু সংরক্ষণে পৃথক কোল্ড স্টোরেজ নির্মাণ নিয়েও কাজ চলছে বলে তিনি জানান।
এএইচ