পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ সংক্রান্ত মামলাটি ঘিরে আবারও অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বিশেষ করে সাবেক সেতু সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার ভূমিকাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কার্যক্রম নিয়ে নতুন করে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছে সংস্থাটি।
আজ মঙ্গলবার (১ জুলাই) দুদক সূত্রে জানা গেছে, মামলাটির পুনরায় অনুসন্ধান শুরু করেছে সংস্থাটি এবং ইতোমধ্যে পরামর্শক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কার কী ভূমিকা ছিল, তার বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেছে। এগুলোর পর্যালোচনা শেষে পরবর্তী আইনি সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
বিজ্ঞাপন
দুদক সূত্রে জানা যায়, পদ্মা সেতু দুর্নীতি মামলার অনুসন্ধানে বিভিন্ন তথ্য ও উপাত্ত হাতে এসেছে দুদকের। এসব তথ্য পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন তারা। এর মধ্যে সাবেক সেতু সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াসহ সংশ্লিষ্টদের পদ্মা সেতুতে পরামর্শক নিয়োগে কী কী ভূমিকা ছিল, তার উপাত্ত হাতে পেয়েছে সংস্থাটি।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের জানুয়ারিতে দুদক এই মামলাকে পুনরুজ্জীবিত করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং একটি উচ্চপর্যায়ের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করে। এরপর থেকেই পদ্মা সেতু প্রকল্পে পরামর্শক নিয়োগ সংক্রান্ত অনিয়ম ও দুর্নীতির নানা দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
২০১২ সালে বিশ্ব ব্যাংকের অনুদান স্থগিতের প্রেক্ষাপটে, আন্তর্জাতিক চাপের মুখে এসে ১৭ ডিসেম্বর বনানী থানায় মামলাটি দায়ের করেন দুদকের উপপরিচালক আবদুল্লাহ আল জাহিদ। মামলায় মোট ৭ জনকে আসামি করা হয়।
প্রধান আসামি ছিলেন তৎকালীন সেতু সচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া। তাকে গ্রেফতার করে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলেও, পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান এবং পুনরায় চাকরিতে ফিরে আসেন।
বিজ্ঞাপন
মামলায় অন্য ছয়জন আসামি হলেন— সেতু কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (নদী শাসন) কাজী মো. ফেরদৌস, সওজ-এর নির্বাহী প্রকৌশলী রিয়াজ আহমেদ জাবের, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড প্ল্যানিং কনসালটেন্ট লিমিটেডের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং এসএনসি লাভালিনের স্থানীয় প্রতিনিধি মোহাম্মদ মোস্তফা, এসএনসি-লাভালিনের সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ ইসমাইল, আন্তর্জাতিক প্রকল্প বিভাগের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট রমেশ সাহ ও সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কেভিন ওয়ালেস।
এমআই/এফএ