রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে মো. রকি নামে এক যুবককে হত্যার ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরপর চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে। শুরু থেকে বিষয়টিতে পূর্ব শত্রুতা বলে ধারণা করে আসছিল পুলিশ। কিন্তু দুজনকে গ্রেফতারের পর জানা গেল, এ ঘটনার নেপথ্যের কারণ অবৈধ ব্যবসা নিয়ে খুনিদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান লালবাগ বিভাগের ডিসি মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন।
বিজ্ঞাপন
ডিএমপির এই কর্মকর্তা জানান, গত চার পাঁচ মাস আগে আবু কাওসার নামে এক ব্যক্তি খুনের শিকার হন। সেই ঘটনায় নিহত রকি জড়িত বলে আবু কাওসারের আত্মীয় স্বজনরা ধারণা করেছিল। এ ঘটনায় যারা গ্রেফতার তাদের মধ্যে গত কয়েক মাস আগে খুনের শিকার আবু কাওসারের ভাই ও ভাগিনা রয়েছে। তারা হলেন— আবু তালেব মেম্বার (৩৭) ও মো. পলাশ খাঁ (৩৩)। সোমবার মাদারীপুর জেলার কালকিনি থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এছাড়াও এই খুনের সঙ্গে আরও তিনজন জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। তবে এ খুনের নেপথ্যে আর কোনো কারণ আছে কিনা তা যাচাই করা হচ্ছে।
লালবাগের ডিসি জসিম উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় খুনের কারণ রকির কিছু অবৈধ ব্যবসা বাণিজ্য ছিল। এগুলো নিয়ে বিরোধ ছিল। এখন থেকে চার পাঁচ মাস আগে আবু কাওসার নামে একটি হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল। আবু কাওসারের আত্মীয়স্বজনের সন্দেহ ছিল এ ঘটনায় রকি জড়িত ছিল। কিন্তু তথ্য বলছে, ওই সময় রকি জেলে ছিল। তবে সে জড়িত ছিল কিনা সেটা তদন্তে বেরিয়ে আসবে।
ডিএমপির এই কর্মকর্তা জানান, আবুল তালেব ও আবু বকর আপন ভাই। তাদের একটি রিকশা গ্যারেজ আছে। রকির খুনের ঘটনাটি আবু বকরের গ্যারেজের সামনের। তারা মাদারীপুরের মানুষ। তারা সেখানকার স্থানীয় নয়। তাদের সঙ্গে মাদকের দ্বন্দ্ব ছিল বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখব। হতে পারে এমন ঘটনা। তবে তা তদন্তে বেরিয়ে আসবে।
বিজ্ঞাপন
পুলিশ জানায়, গত ২৩ জুন স্থানীয়দের মাধ্যমে হত্যার খবরটি পায় পুলিশ। সেদিন রাত ১২টার পরে একজনকে ছুরিকাঘাত অবস্থায় পাওয়া যায়। তাকে উদ্ধার করে ঢামেকে পাঠানো হয়। পরে এ ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।
এমআইকে/এমএইচটি