রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আবেদন যাচাই-বাছাই শেষে প্রতিবেদন তৈরিতে সাত কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিয়ে বিশেষ টিম গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সোমবার (৩০ জুন) ইসির জনবল ব্যবস্থাপনা শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ শহীদুর রহমান এ সংক্রান্ত অফিস আদেশ জারি করেন।
বিজ্ঞাপন
আদেশে বলা হয়েছে, নতুন রাজনৈতিক দল থেকে প্রাপ্ত আবেদনসমূহ আইনবিধি মোতাবেক সুচারুরূপে সন্নিবেশ ও যাচাই-বাছাইপূর্বক প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য ছয় কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন- নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নুরুল হাসান ভূঞা, বাজেট ও ফাইন্যান্স শাখার সিনিয়র সহাকারী সচিব মো. শামসুল হক ফৌজদার ও আরাফাত আরা, এনআইডি অনুবিভাগের সহকারী পরিচালক মুহা. সরওয়ার হোসেন, সংস্থাপন-২ শাখার সহকারী সচিব আফরোজা পারভীন, সহকারী সচিব আরাফাত আল হোসাইনী ও সহকারী পরিচালক মো. আশাদুল হক।
অফিস আদেশে তাদের কার্যপরিধিতে বলা হয়েছে, ওই কর্মকর্তারা নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য প্রাপ্ত আবেদনসমূহ যাচাইয়ের লক্ষ্যে যাচাই-বাছাইকারী কর্মকর্তাগণ প্রেরিত চেক লিস্ট/প্রশ্নমালা অনুযায়ী যাচাই-বাছাইপূর্বক প্রয়োজনীয় তথ্য সন্নিবেশনসহ প্রতিবেদন তৈরি করবেন এবং এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন (সফট কপি ও হার্ড কপিসহ) নির্বাচন সহায়তা শাখার উপ-সচিবকে দেবেন।
গত ২২ জুন ছিল রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আবেদনের শেষ দিন। এদিন পর্যন্ত ১৪৪ টি দলের ১৪৭টি আবেদন কমিশনে জমা পড়েছিল। যাচাই বাছাইকারী কর্মকর্তারা রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইন অনুযায়ী যাচাই বাছাই করবেন। এরপর তাদের দেওয়া প্রতিবেদনের ওপর তদন্ত করা হবে। তদন্তে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে সংশ্লিষ্ট দলগুলো নিয়ে দাবি-আপত্তি আহ্বান করবে ইসি। আপত্তি থাকলে শুনানি করে নিষ্পত্তি হবে। আর আপত্তি না থাকলে সংশ্লিষ্ট দলকে নিবন্ধন দেওয়া হবে।
আইন অনুযায়ী, নিবন্ধন পেতে ইচ্ছুক দলগুলোর একটি কেন্দ্রীয় কমিটি, এক তৃতীয়াংশ জেলা ও ১০০টি উপজেলা কমিটি, কার্যালয় ও ২০০ ভোটার সমর্থক থাকতে হয়। এছাড়া পূর্বের কোনো নির্বাচনে দলটির নির্বাচিত কোনো সদস্য থাকলে ও কোনো নির্বাচনে কমপক্ষে ৫ শতাংশ ভোট পেলে নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্য হিসেবে ধরা হয়। এছাড়াও অন্যান্য কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়।
বিজ্ঞাপন
এমএইচএইচ/জেবি