শুক্রবার, ১১ জুলাই, ২০২৫, ঢাকা

খায়রুল হকের বিরুদ্ধে দুদকের এনফোর্সমেন্ট অভিযান

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৯ জুন ২০২৫, ০৮:৪১ পিএম

শেয়ার করুন:

সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা
ছবি: সংগৃহীত

রাজউক এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে বিধিবহির্ভূতভাবে প্লট বরাদ্দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিশেষ এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

অভিযান টিম রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) অফিসে গিয়ে সংশ্লিষ্ট প্লট বরাদ্দের রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করেন এবং তাৎক্ষণিক পর্যালোচনা করেন।


বিজ্ঞাপন


পর্যালোচনায় উঠে আসে, পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের ০১ নম্বর সেক্টরের ১০২ নম্বর সড়কের ০৪৪ নম্বর প্লটটি সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের নামে লিজ দলিলে নিবন্ধিত। তিনি ২০০১ সালে বিচারপতি কোটায় এই প্লটের জন্য আবেদন করেছিলেন এবং ২০০৪ সালে প্লটটি তার নামে সাময়িকভাবে বরাদ্দ হয়। তবে, তিনি নির্ধারিত প্রথম কিস্তির টাকা পরিশোধ না করায় বিধি অনুযায়ী প্লটটি বাতিল হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা হয়নি।

এরপর ২০০৯ সালে তিনি পুনরায় প্লটটি বরাদ্দের জন্য আবেদন করেন। রাজউক থেকে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, বিগত ২০০৫ সাল থেকে পুঞ্জিভূত সুদসহ পরিশোধ সাপেক্ষে প্লটটি পুনরায় বরাদ্দ দেওয়া হবে। তবে দুদকের অনুসন্ধানে দেখা যায়, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং রাজউকের কিছু অসাধু কর্মকর্তার সহায়তায় তিনি কেবল প্রথম কিস্তি পরিশোধ করে, অবসর গ্রহণের পর বাকি অর্থ পরিশোধের শর্তে প্লটটির বরাদ্দ পেয়ে যান—তাও আবার সুদবিহীনভাবে।

দুদক সূত্র জানিয়েছে, বিষয়টি গভীরভাবে পর্যালোচনার জন্য কমিশনের নিকট একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে এবং প্রয়োজনীয় আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করা হবে।

প্রসঙ্গত, পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের প্লট বরাদ্দ প্রক্রিয়ায় দীর্ঘদিন ধরেই অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন শ্রেণির প্রভাবশালী ব্যক্তিদের অবৈধ সুবিধা গ্রহণের ঘটনা গণমাধ্যমে এসেছে।


বিজ্ঞাপন


এমআই/এএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর