বুধবার, ৯ জুলাই, ২০২৫, ঢাকা

হাসনাতের পোস্টে দুদকের নজর, প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার ৪

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৯ জুন ২০২৫, ০৬:৪৯ পিএম

শেয়ার করুন:

হাসনাতের পোস্টে দুদকের নজর, প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার ৪

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহর ফেসবুক পোস্টের সূত্র ধরে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চার প্রতারককে গ্রেফতার করেছে।

দুদক’র নির্দেশে পুলিশ সুপার পদমর্যাদার এক কর্মকর্তার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছিলো। অনুসন্ধান কমিটির কার্যক্রমে র‌্যাব, পুলিশ এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় রাজধানীর মুগদা ও আশপাশের এলাকায় গত রাতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে প্রতারক চক্রের মূলহোতাসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন মো. সেলিম (৪০)। যার স্থায়ী ঠিকানা পিরোজপুর সদর উপজেলার বাদলখালী এলাকায়। বর্তমানে তিনি রাজধানীর মান্ডা এলাকার গ্রিন মডেল টাউনে বসবাস করেন। গ্রেফতার হওয়া অন্য তিনজন হলেন— মো. তরিকুল ইসলাম (৪০), মো. আতিক (৩৮) এবং মো. আব্দুল হাই সোহাগ (৩৫)। সবার বর্তমান ঠিকানা রাজধানীর মুগদা থানার দক্ষিণ মান্দা এলাকা।

গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে একটি Sony Digital HD ক্যামেরা, বুম, সেলফি স্টিক, দুটি পাসপোর্ট, ‘সমকাল’ পত্রিকার নামে একটি আইডি কার্ড, সমকাল, এশিয়ান টিভি ও এফসি টিভির নামে একাধিক ভিজিটিং কার্ড, সোনালী ব্যাংকের চেক বই, ছয়টি মোবাইল ফোন এবং ১৩টি সিমকার্ড উদ্ধার করা হয়। এসব ভিজিটিং কার্ডে সোহাগ পাটোয়ারী নাম ব্যবহার করা হয়েছিল বলে জানা গেছে।

দুদক মহাপরিচালক প্রতিরোধ মো. আক্তার হোসেন বলেন, এই চক্রটি নিজেদেরকে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, মহাপরিচালক কিংবা অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল। তারা মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছিল। ভুয়া পরিচয়পত্র ও সাংবাদিকতার ছদ্মবেশে তারা প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিল।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা অপরাধের কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে দুদক। ইতোমধ্যে চক্রটির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা ছাড়াও আরও কারা এই চক্রের সঙ্গে জড়িত— তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। উদ্ধারকৃত আলামতগুলো ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।


বিজ্ঞাপন


দুদক কর্মকর্তারা মনে করছেন, এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে সংগঠিতভাবে প্রতারণার কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে সহজ-সরল মানুষকে টার্গেট করে তারা ‘দুদকের মামলায় ছাড়’ দেওয়ার প্রলোভনে কোটি কোটি টাকার প্রতারণা করেছে।

এমআই/এফএ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর