মেয়র হিসেবে শপথের দাবিতে টানা প্রায় ৪০দিন ধরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মূল ফটকসহ সব দফতর তালাবদ্ধ রেখে আন্দোলন করেছেন ইশরাক হোসেনের অনুসারীরা। মাঝে আন্দোলন সাময়িক সময়ের জন্য স্থগিত করা হলেও খোলা হয়নি তালা। তবে রোববার (২২ জুন) আন্দোলন কিছুটা শিথিল করে সোমবার (২৩ জুন) থেকে নগর ভবনসহ আঞ্চলিক সব কার্যালয়ে সংশ্লিষ্টদের সেবা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। সে অনুযায়ী ধীরে ধীরে জন্মসনদ, ট্যাক্স জমাসহ সার্বিক কার্যক্রম স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।
নগর ভবনের মূল ফটকসহ বন্ধ করে রাখা তালা খুলে দেওয়ার পর সব বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত হন। তবে নগর ভবনে আসেননি প্রশাসক ও প্রকৌশলীরা।
বিজ্ঞাপন
এদিকে ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে সকাল থেকে নগর ভবনের সিঁড়িতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ইশরাক সমর্থক ও বিএনপি কর্মীরা। তারা বিভিন্ন স্লোগানও দিচ্ছেন।
অন্যদিকে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর নগর ভবনে সেবা চালু হলেও প্রথম দিনে তেমন ভিড় ছিল না। ফলে যারা এসেছেন তারা দ্রুত সেবা নেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।
আঞ্চলিক কার্যালয়গুলোতেও সব ধরনের সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেখা গেছে সংশ্লিষ্টদের। পুরান ঢাকা থেকে আসা একজন সেবা প্রত্যাশী জানান, অনেকদিন বন্ধ থাকায় হোল্ডিং ট্যাক্স জমা দিতে পারেননি। আবার সেবা চালুর পর এসে খুব দ্রুত কাজ শেষ করতে পেরেছেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ মার্চ আদালত ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করেন। এরপর নির্বাচন কমিশন থেকে গেজেট প্রকাশ করা হয়। গেজেট স্থগিত চেয়ে রিট করা হলে সেটি খারিজ হয়। পরে আপিল করলে সেখান থেকেও রিট খারিজ হয়। তবে এখন পর্যন্ত তাকে শপথ পড়ানো হয়নি।
বিজ্ঞাপন
এরপর গত ১৪ মে থেকে ‘ঢাকাবাসী’র ব্যানারে আন্দোলন শুরু করেন ইশরাকের সমর্থকরা। ওইদিনই নগর ভবনের মূল ফটকে তালা দেওয়া হয় এবং বন্ধ হয়ে যায় সব কার্যক্রম।
বিইউ/এফএ

