রোববার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

পুলিশের লাঠিচার্জে আহত ৩, ফের নতুনবাজার অবরোধ শিক্ষার্থীদের

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২১ জুন ২০২৫, ০১:০৯ পিএম

শেয়ার করুন:

পুলিশের লাঠিচার্জে আহত ৩, ফের নতুনবাজার অবরোধ শিক্ষার্থীদের
সড়ক অবরোধ করে শুয়ে পড়েন শিক্ষার্থীরা

পুলিশের লাঠিচার্জে সাময়িক ছত্রভঙ্গ হওয়ার পর রাজধানীর নতুনবাজার এলাকা ফের অবরোধ করেছেন বেসরকারি ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (২১ জুন) দুপুর ১২টার পর নতুনবাজার মোড়ের একপাশে তাদের অবস্থান করতে দেখা যায়।


বিজ্ঞাপন


বহিষ্কারাদেশ বাতিলসহ পাঁচদফা দাবিতে শিক্ষার্থীরা এই কর্মসূচিতে নেমেছেন।

এদিন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সড়ক অবরোধ করে পূর্বঘোষিত ব্লকেড কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। বেলা ১১টার দিকে পুলিশ শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এসময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। এতে তিন শিক্ষার্থী আহত হন বলে দাবি আন্দোলনকারীদের।

শিক্ষার্থীরা জানান, পুলিশ তাদের ওপর হামলা করেছে। তারপরও তারা রাস্তা ছাড়েননি। পুলিশের মারধরে তাদের তিনজন আহত হয়েছেন। যতক্ষণ দাবি না মানা হবে ততক্ষণ তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন স্লোগানে স্লোগানে তাদের দাবি জানাচ্ছেন। তাদের ‘হয় বহিষ্কার বাদ যাবে, না হয় আমার লাশ যাবে’, ‘প্রত্যাহার বহিষ্কার, তারপর হবে সংস্কার’, ‘পা চাটলে পুরস্কার, না চাটলে বহিষ্কার’, ‘বহিষ্কার প্রত্যাহার, করতে হবে করতে হবে’, ‘অথরিটি স্বৈরাচার, এবার তোরা গদি ছাড়’, ‘প্রাইভেটখাতে শিক্ষা কর, করতে হবে প্রত্যাহার’, ‘১ ২ ৩ ৪, প্রাইভেট সংস্কার’, ‘প্রাইভেট সব মাঠে থাক, সিন্ডিকেট নিপাত যাক’ স্লোগান দিতে দেখা যায়।


বিজ্ঞাপন


শিক্ষার্থীরা মূলত দুই দাবিতে ব্লকেড কর্মসূচি করছেন। তাদের দাবিগুলো হলো- উপাচার্য ও একজন বিভাগীয় প্রধানের পদত্যাগ দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় যেসব শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে, তাদের বহিষ্কারাদেশ নিঃশর্তে তুলে নেওয়া। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক শূন্যতা কাটিয়ে দ্রুত স্বাভাবিক অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম চালু করা।

ডিএমপির ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিবুল হাসান বলেন, প্রায় আড়াইঘণ্টা ধরে রাস্তা বন্ধ। এতে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। মানুষের ভোগান্তি দূর করতে আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনা করেছি। তারা সড়ক ছাড়তে নারাজ। এজন্য তাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের যৌক্তিক ১৩ দফা দাবি দীর্ঘদিন ধরে উপেক্ষা করে আসছে। উল্টো আন্দোলন দমন করতে বহিষ্কার করা হচ্ছে। গত ২ জুন ৪১ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তাদের মধ্যে ২৪ জনকে স্থায়ী ও ১৬ জনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। বাকি একজনকে সতর্কবার্তা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এএসএল/ইএ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর