রোববার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

নৌ কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষর জাল করে মাল খালাসের চেষ্টা, মূল হোতা গ্রেফতার

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৮ জুন ২০২৫, ০৮:১৭ পিএম

শেয়ার করুন:

Arrest
গ্রেফতারকৃত তৌহিদুল ইসলাম শুভ।

চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আমদানিকৃত মূল্যবান যন্ত্রপাতি খালাস করতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষর জাল করে একটি প্রতারক চক্র। তারা ৫০ কোটি টাকার স্টোর রেন্ট ফাঁকি দিয়ে বিপুল মালামাল খালাসের চেষ্টা করেছিল। 

কিন্তু অবশেষে ধরা পড়ে যায়। কর্তৃপক্ষ চক্রটিকে ধরতে মামলা করে। সেই মামলায় চক্রের মূল হোতা তৌহিদুল ইসলাম শুভকে (৩০) গ্রেফতার করেছে সিআইডি। 


বিজ্ঞাপন


মঙ্গলবার (১৭ জুন) রাতে রাজধানীর সোবহানবাগ এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। 

শুভ রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ থানার পশ্চিম উজারচর গ্রামের মোয়াজ্জেম হোসেনের ছেলে। তিনি নিজেকে সামরিক বাহিনীর মেজর পরিচয় দিতেন। তাকে গ্রেফতারের সময় সামরিক পোষাকযুক্ত মেজর পদের ভুয়া পরিচয়পত্র, অনেকগুলো মেজর পদের ভিজিটিং কার্ড, ৮টি মোবাইল ফোন, ১০টি সীম কার্ড, বিভিন্ন ব্যাংকের চেক বই এবং ১টি ল্যাপটপ জব্দ করা হয়। 

গ্রেফতারকৃতের বিরুদ্ধে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ ঘাট থানায় প্রতারণাসহ দুটি এবং রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানায় প্রতারণার দুটি মামলা রয়েছে। এছাড়া রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ থানায় একটি সাজা ওয়ারেন্টসহ চারটি ওয়ারেন্ট মূলতবির তথ্য পাওয়া গিয়েছে।

বুধবার (১৮ জুন) রাতে এসব বিষয় নিশ্চিত করেছে সিআইডির মিডিয়া বিভাগ। 


বিজ্ঞাপন


সিআইডি জানায়, বসুন্ধরা মাল্টি স্টিল কোম্পানি লিমিটেড মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে কারখানা স্থাপনের জন্য বিশেষ সুবিধায় বিভিন্ন সময় আনা প্রায় ১৩৯টি কন্টেইনারে মূল্যবান যন্ত্রপাতি আমদানি করে। কিন্তু যথা সময়ে খালাস না হওয়ায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে বসুন্ধরা কোম্পানির প্রায় ৯২ কোটি স্টোর রেন্ট বকেয়া পড়ে যায়। 

এর প্রেক্ষিতে বসুন্ধরা মাল্টি স্টিল কোম্পানি লিমিটেড স্টোররেন্ট মওকুফের জন্য নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় বরাবর আবেদন করে। বিষয়টি মন্ত্রণালয়ে বিবেচনাধীন থাকাকালীন বসুন্ধরা গ্রপ অব কোম্পানিজের সিনিয়র ম্যানেজার ফয়েজুর রহমান একটি স্টোর রেন্ট মওকুফ পত্র প্রতারক চক্রের সদস্য আবু হানিফা ওরফে হানাফি ওরফে আমিনুল ইসলাম ওরফে আমিন পান। পরে তিনি সেটি দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে যন্ত্রপাতি খালাসের চেষ্টা করেন। 

স্টোর রেন্ট মওকুফ পত্রের বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলে পত্রটি জাল ও ফেক লেটার বলে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে জানায়। স্টোর রেন্ট মওকুফের জাল পত্রের বিষয়টি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত হয়ে চট্টগ্রামের সদর থানায় একটি মামলা করেন। 

এর আগে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের মামলায় প্রতারক চক্রের মো. ফয়েজুর রহমান (৪২) ও আবু হানিফা ওরফে হানাফি ওরফে আমিনুল ইসলাম ওরফে আমিন (৩৩), রনি রাজ হোসেনকে (২৯) গ্রেফতার করা হয়। 

এর মধ্যে আবু হানিফা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্থানে ছয়টি মামলা বিচারাধীন এবং রনি রাজ হোসেনের বিরুদ্ধে একটি নারী নির্যাতনের মামলা ও একটি প্রতারণা মামলা রয়েছে। 

এমআইকে/এএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর