শুক্রবার, ১১ জুলাই, ২০২৫, ঢাকা

আমরা অস্থির ও সম্ভবনাময় সময় পার করছি: শিক্ষা উপদেষ্টা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৭ জুন ২০২৫, ১০:০০ পিএম

শেয়ার করুন:

A
বক্তব্য দিচ্ছেন শিক্ষা উপেদেষ্টা ড. সি আর আবরার। ছবি- ঢাকা মেইল

শিক্ষা উপেদেষ্টা ড. সি আর আবরার বলেছেন, ‘বর্তমানে বিভিন্ন দাবিদাওয়ার কারণে আমরা একটি অস্থির সময় পার করছি। কিন্তু এই সময়টি সম্ভবনাময়। আমরা গণতান্ত্রিক পরিবেশ থেকে বেরিয়ে প্রজা হয়ে গিয়েছিলাম। সেই জায়গা থেকে আমাদের মুক্ত করেছে ছাত্র-শ্রমিক-জনতা। তবে এর পেছনে রাজনৈতিক দলগুলোর দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রাম ছিল।’

মঙ্গলবার (১৭ জুন) বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা সমিতি (এফপিএবি) ও জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক সেমিনারে এসব কথা বলেন শিক্ষা উপেদেষ্টা। 


বিজ্ঞাপন


যুব ও নারীর ক্ষমতায়ন, অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা এবং টেকসই উন্নয়ন বিষয়ে গঠনমূলক সংলাপ ও অংশীদারিত্ব উৎসাহিত করতেই এই সেমিনারটি আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন এফপিএবির সভাপতি ও সাবেক রাষ্ট্রদূত মসয়ূদ মান্নান।

সি আর আবরার বলেন, ‘আমাদের তরুণ সময় আমাদের নতুন একটি সুযোগ করে দিয়েছে। এজন্য আমাদের অবশ্যই তাদের আকাঙ্ক্ষাকে গুরুত্ব দিতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোও তরুণদের আকাঙ্ক্ষার গুরুত্ব দিবেন বলে মনে করি। আগের সরকার শিক্ষাব্যবস্থাকে খারাপ অবস্থায় নিয়ে গিয়েছিল। আমরা সেই জায়গা থেকে বেরিয়ে আসতে চাই।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার বিভিন্ন খাত তৈরি করে শিক্ষার বরাদ্ধ থেকে লুটপাট করেছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে অর্থ বরাদ্দ দিতো এমন সব খাতে, যেগুলো শিক্ষার সঙ্গে সম্পৃক্তই নয়। শুধু একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন ব্যক্তির মহৎ বর্ণনা বা প্রচার করতেই ১০০ কোটি টাকা খরচ করেছিল। এখন ওই ধরণের কোনো বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে না।’  

শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা দেশ গঠনের একটি সুযোগ পেয়েছি। এই দেশকে এগিয়ে নিতে হলে আমাদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। তবে এসব ক্ষেত্রে আমাদের নীতিগুলো দুর্বল। আবার অনেক সময় আমাদের শক্তিশালী নীতি থাকলেও যথাযথ বাস্তবায়ন নেই।’


বিজ্ঞাপন


তাই দুর্বল নীতিগুলোর সংস্কার ও শক্তিশালী নীতিগুলো বাস্তবায়নে গুরুত্ব দেওয়ার আহবান জানান তিনি।

সি আর আবরার বলেন, ‘আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে সিজারের গড় হার থাকার কথা ১০ শতাংশ। কিন্তু এখন সেটি বেড়ে ৫০ শতাংশ ছাড়িয়েছে। এটা এই খাতের উদ্যোক্তাদের অনৈতিকতার ফল। এসব সংস্কারে ডাক্তারদের সংগঠনগুলোকে এগিয়ে আসা উচিৎ। এসব কাজ তো তাদেরই হওয়ার কথা। তারা কী করছে?’

তিনি বলেন, ‘সরকার এসব বিষয়ে হস্তক্ষেপ করলে অনেকেই তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা শুরু করবে। সবাই বলবে, সরকার ডাক্তাদের কাজে হস্তক্ষেপ করছে। এজন্য স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে এই খাতের সংগঠন ও ডাক্তারদের সংগঠনগুলোকে এগিয়ে আসার আহবান জানাই।’

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. আশরাফী আহমদ এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশের সহকারী আবাসিক প্রতিনিধি আনোয়ারুল হক, নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সদস্য ডা. হালিদা হানুম আক্তার, বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি এবং এফপিএবির কর্মকর্তারা।

টিএই/এএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর