পবিত্র ঈদুল আজহার টানা ১০ দিন ছুটির পর রোববার খুলছে (১৫ জুন) সরকারি ব্যাংক, বিমাসহ সব অফিস আদালত। গত ৫ জুন শুরু হয়েছিল এই ছুটি। শনিবার (১৪ জুন) ছুটির শেষ দিন অনেক মানুষ গ্রাম থেকে ঢাকায় ফিরেছেন সারাদিন, আসছেন এখনো।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে যাত্রী নিয়ে রাজধানীর টার্মিনালগুলোতে ঢুকছে বাস। পাশাপাশি আজ ব্যক্তিগত গাড়িও অন্য দিনের চেয়ে বেশি প্রবেশ করছে ঢাকায়। রাজধানীমুখী ট্রেনেও যাত্রীদের চাপ লক্ষ্য করা গেছে।
বিজ্ঞাপন
এরপরও উল্লেখযোগ্য ভোগান্তির চিত্র তেমন দেখা যায়নি। তবে ঢাকায় সড়কে গত কয়েকদিনের তুলনায় আজ গাড়ির চাপ ও মানুষের চলাচল বেড়েছে। যাত্রাবাড়ী, কমলাপুর, গাবতলি ও সায়েদাবাদ এলাকায় ঢাকায় ফেরা মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, যাত্রাবাড়ী, কমলাপুর এলাকার বিভিন্ন বাস স্টপেজে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা যাত্রীদের নামিয়ে বাসগুলো আবার নির্দিষ্ট গন্তব্যে যাচ্ছে। হানিফ, নাবিল, সোহাগ, এনা, ইকোনো, শ্যামলী, স্টার লাইন, গ্রিন লাইনসহ বড় বড় বাস কোম্পানিগুলোর বাসের আধিক্য চোখে পড়ার মতো। সঙ্গে লোকাল বাসে করেও আসছেন অনেক যাত্রী।

দিনাজপুর থেকে হানিফ পরিবহনে করে ঢাকায় গাবতলি নামেন লাবলু মিয়া। চাকরি করেন সচিবালয়ে। তিনি জানান, বাস কাউন্টারগুলোতে ঢাকায় ফেরা যাত্রীর প্রচুর চাপ রয়েছে। ঢাকা থেকে ফিরতি গাড়ির জন্য আগে থেকেই টিকিট কাটা যাত্রীরা অপেক্ষা করছেন। অনেকে টিকিট না পেয়ে লোকাল গাড়িতেও আসছেন।
বিজ্ঞাপন
ঢাকার টার্মিনালগুলো ঘুরে দেখা গেছে, খুলনা, রাজশাহী, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেটসহ দেশের নানা প্রান্ত থেকে যাত্রী নিয়ে একের পর এক বাস ঢুকছে রাজধানীতে। এসব বাস থামছে গাবতলি, মহাখালী, যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ, কমলাপুর, ফকিরাপুল, জুরাইন, শনিরআখড়া, রায়েরবাগ ও কাজলা এলাকায়।
বাস থেকে নেমে কেউ রিকশা, কেউ সিএনজি অটোরিকশা আবার কেউ ঢাকার লোকাল বাসে চেপে যাচ্ছেন গন্তব্যে। কেউ কেউ যাচ্ছেন মতিঝিলে মেট্রোরেলের স্টেশনের দিকে। আবার কেউ মোটরসাইকেল ভাড়া করছেন।
অনেক যাত্রীই জানান, অগ্রিম টিকিট কাটতে না পারায় তারা লোকাল বাসে করে ঢাকায় ফিরছেন। রাজধানীর প্রতিটি জায়গায় ট্রাফিক সদস্য রয়েছে।
টিএই/এএইচ

