বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন, ২০২৫, ঢাকা

এ বছর সংরক্ষণ করা হয়েছে ৯ লাখ ৫৭ হাজার চামড়া

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১ জুন ২০২৫, ০৯:৩০ এএম

শেয়ার করুন:

qurbani
কোরবানির চামড়া সংরক্ষণ করা হয়েছে। (ফাইল ছবি)

রাজশাহী, রংপুর, সিলেট ও বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন মাদরাসা, এতিমখানা ও আড়ত ফড়িয়া ও মৌসুমি ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে এ বছর সংরক্ষিত রয়েছে ৯ লাখ ৫৭ হাজার চামড়া।

মঙ্গলবার (১০ জুন) এই চার বিভাগ থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কন্ট্রোল রুমে পাঠানো তথ্য থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে।


বিজ্ঞাপন


রাজশাহী বিভাগ

রাজশাহী বিভাগের আট জেলার মাদরাসা, এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিংয়ে এ বছর কোরবানির দুই লাখ ৮৭ হাজার ৫২৪টি গরু, মহিষ ও ছাগলের চামড়া লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করা হয়েছে।

এরমধ্যে গরু ও মহিষের চামড়া সংখ্যা এক লাখ ১০ হাজার ৯০৫টি। আর ছাগলের চামড়ার সংখ্যা এক লাখ ৭৬ হাজার ৬১৯টি।

জেলাগুলোর মধ্যে রাজশাহীতে সংরক্ষণ করা চামড়ার সংখ্যা ৬৭ হাজার ২৪৭টি। এর মধ্যে গরু ও মহিষের চামড়া ১৪ হাজার ৫৩৬টি এবং ৫২ হাজার ৭১১টি ছাগলের চামড়া। নাটোরে ৫৩ হাজার ৫১৩টি চামড়া সংরক্ষণ করা হয়েছে। এর মধ্যে গরু ও মহিষ ১৪ হাজার ৬৫২টি এবং ছাগল ৩৮ হাজার ৮৬১টি।


বিজ্ঞাপন


চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৬ হাজার ৭৩৮টি চামড়া সংরক্ষণ করা হয়েছে। এর মধ্যে গরু ও মহিষ সাত হাজার ৬০৯টি এবং ছাগল ৯ হাজার ১২৯টি। বগুড়ায় সংরক্ষণ করা হয়েছে ২৩ হাজার ৪৩৬টি চামড়া। এর মধ্যে ১১ হাজার ৪৭৮টি গরু ও মহিষের চামড়া এবং ১১ হাজার ৯৫৮টি ছাগলের চামড়া রয়েছে।

পাবনায় সংরক্ষণ করা হয়েছে ১৫ হাজার ৯৮৪টি চামড়া। এর মধ্যে সাত হাজার ৯৭৪টি গরু ও মহিষের চামড়া এবং আট হাজার ১০টি ছাগলের চামড়া রয়েছে। সিরাজগঞ্জে সংরক্ষণ করা হয়েছে ২৩ হাজার ২২২টি চামড়া। এর মধ্যে ১২ হাজার ৮৪টি গরু ও মহিষের চামড়া এবং ১১ হাজার ১৩৮টি ছাগলের চামড়া রয়েছে।

নওগাঁয় সংরক্ষণ করা হয়েছে ২১ হাজার ২৭৩টি চামড়া। এর মধ্যে ১০ হাজার ১৬২টি গরু ও মহিষের চামড়া এবং ১১ হাজার ১১১টি ছাগলের চামড়া রয়েছে। জয়পুরহাটে সংরক্ষণ করা হয়েছে ৬৬ হাজার ১১১টি চামড়া। এর মধ্যে ৩২ হাজার ৪১০টি গরু ও মহিষের চামড়া এবং ৩৩ হাজার ৭০১টি ছাগলের চামড়া রয়েছে।

বরিশাল বিভাগ

বরিশাল বিভাগের ৬ জেলার মাদরাসা, এতিমখানা, লিল্লাহ বোর্ডিং এবং বিভিন্ন আড়ত ফড়িয়া ও মৌসুমি ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে এ বছর কোরবানির ১ লাখ ৮০ হাজার ৫১৮টি গরু, মহিষ ও ছাগলের চামড়া সংগ্রহ করে লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করা হয়েছে।

এর মধ্যে গরু ও মহিষের চামড়া সংখ্যা ১ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৩টি এবং ছাগলের চামড়ার সংখ্যা ১৩ হাজার ৮২৫টি।

Qurbani3_20250607_215353676

বিভাগটির জেলাগুলোর মধ্যে বরিশালের বিভিন্ন আড়ত ফড়িয়া ও মৌসুমি ব্যবসায়ী ৩৪ হাজার ২৩২টি গরু ও মহিষ এবং ৫ হাজার ২১০টি ছাগলের চামড়া সংরক্ষণ করেছে। মাদরাসা, এতিমখানা, লিল্লাহ বোর্ডিংয়ের মাধ্যমে সংরক্ষণ করা হয়েছে ২০ হাজার ১৮৯ পিস গরু ও মহিষ এবং ১ হাজার ৬৫৭টি ছাগলের চামড়া। জেলাটিতে গরু ও মহিষের ৫৪ হাজার ৪২১টি এবং ছাগলের ৬ হাজার ৮৬৭টি চামড়া সংরক্ষণ করা হয়েছে।

ঝালকাঠির বিভিন্ন আড়ত ফড়িয়া ও মৌসুমি ব্যবসায়ী ৩ হাজার ৭৪৫টি গরু ও মহিষের চামড়া এবং ৭৭০টি ছাগলের চামড়া সংরক্ষণ করেছে। আর মাদরাসা, এতিমখানা, লিল্লাহ বোর্ডিংয়ের মাধ্যমে সংরক্ষণ করা হয়েছে ৭ হাজার ৭৫২টি গরু ও মহিষের চামড়া এবং ১ হাজার ৪১টি ছাগলের চামড়া। জেলাটিতে মোট ১১ হাজার ৪৯৭টি গরু ও মহিষ এবং ১ হাজার ৮১১টি ছাগলের চামড়া সংরক্ষণ করা হয়েছে।

পিরোজপুরের বিভিন্ন আড়ত ফড়িয়া ও মৌসুমি ব্যবসায়ী ৭ হাজার ৮০০টি গরু ও মহিষ এবং ৩৫০ ছাগলের চামড়া সংরক্ষণ করেছে। মাদরাসা, এতিমখানা, লিল্লাহ বোর্ডিংয়ের মাধ্যমে সংরক্ষণ করা হয়েছে ৯ হাজার ১৮৬টি গরু ও মহিষ এবং ১ হাজার ৩৭টি ছাগলের চামড়া। জেলাটিতে মোট ১৬ হাজার ৯৮৬টি গরু ও মহিষ এবং ১ হাজার ৩৮৭টি ছাগলের চামড়া সংরক্ষণ করা হয়েছে।

বরগুনার বিভিন্ন আড়ত ফড়িয়া ও মৌসুমি ব্যবসায়ী ৪ হাজার ৩৫৮টি গরু ও মহিষ এবং ৪৯৯টি ছাগলের চামড়া সংরক্ষণ করেছে। মাদরাসা, এতিমখানা, লিল্লাহ বোর্ডিংয়ের মাধ্যমে সংরক্ষণ করা হয়েছে ৬ হাজার ৬৪২টি গরু ও মহিষ এবং ৯৫৬টি ছাগলের চামড়া। জেলাটিতে মোট ১১ হাজার গরু ও মহিষ এবং ১ হাজার ৪৫৫টি ছাগলের চামড়া সংরক্ষণ করা হয়েছে।

ভোলার বিভিন্ন আড়ত, ফড়িয়া ও মৌসুমি ব্যবসায়ী ১৭ হাজার ২০০ গরু ও মহিষের চামড়া সংরক্ষণ করেছে। মাদরাসা, এতিমখানা, লিল্লাহ বোর্ডিংয়ের মাধ্যমে সংরক্ষণ করা হয়েছে ১৮ হাজার ৫৪৪টি গরু ও মহিষ এবং ১ হাজার ৩০০ ছাগলের চামড়া। জেলাটি মোট ৩৫ হাজার ৭৪৪টি গরু ও মহিষের চামড়া এবং ১ হাজার ৩০০টি ছাগলের চামড়া সংরক্ষণ করা হয়েছে।

পটুয়াখালীর বিভিন্ন আড়ত ফড়িয়া ও মৌসুমি ব্যবসায়ী ২৭ হাজার ১৪৯টি গরু ও মহিষের চামড়া সংরক্ষণ করেছে। মাদরাসা, এতিমখানা, লিল্লাহ বোর্ডিংয়ে সংরক্ষণ করা হয়েছে ৯ হাজার ৮৯৬টি গরু ও মহিষ এবং ১ হাজার ৫টি ছাগলের চামড়া। জেলাটি মোট ৩৭ হাজার ৪৫টি গরু ও মহিষের চামড়া এবং ১ হাজার ৫টি ছাগলের চামড়া সংরক্ষণ করা হয়েছে।

রংপুর বিভাগ

রংপুর বিভাগের ৮ জেলার মাদরাসা, এতিমখানা, লিল্লাহ বোর্ডিং এবং বিভিন্ন আড়তে এ বছর কোরবানির ২ লাখ ৮১ হাজার গরু, মহিষ ও ছাগলের চামড়া সংগ্রহ করে লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করা হয়েছে।

এর মধ্যে গরু ও মহিষের চামড়া সংখ্যা ২ লাখ ২৪ হাজার পিস। ছাগলের চামড়ার সংখ্যা ৫৬ হাজার পিস।

জেলাগুলোর মধ্যে পঞ্চগড়ে ৪০ হাজার, ঠাকুরগাঁওয়ে ৫২ হাজার, দিনাজপুরে ২৫ হাজার, নীলফামারীতে ২৫ হাজার ৫০০ পিস, রংপুরে ৪০ হাজার, গাইবান্ধায় ৫৮ হাজার ৫০০ পিস, লালমনিরহাটে ১৮ হাজার এবং কুড়িগ্রামে ২৩ হাজার পিস গরু, মহিষ ও ছাগলের চামড়া সংরক্ষণ করা হয়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পঞ্চগড়ের বিভিন্ন আড়তে ২৫ হাজার গরু ও মহিষ এবং ৮ হাজার ছাগলের চামড়া সংরক্ষণ করা হয়েছে। মাদরাসা, এতিমখানা, লিল্লাহ বোর্ডিংয়ের মাধ্যমে সংরক্ষণ করা হয়েছে ৫ হাজার পিস গরু ও মহিষ এবং ২ হাজার পিস ছাগলের চামড়া।

ঠাকুরগাঁওয়ে বিভিন্ন আড়তে ৩২ হাজার পিস গরু ও মহিষের চামড়া এবং ১০ হাজার পিস ছাগলের চামড়া সংরক্ষণ করা হয়েছে। আর মাদরাসা, এতিমখানা, লিল্লাহ বোর্ডিংয়ের মাধ্যমে সংরক্ষণ করা হয়েছে ৮ হাজার পিস গরু ও মহিষের চামড়া এবং ২ হাজার পিস ছাগলের চামড়া।

দিনাজপুরের বিভিন্ন আড়তে ১৫ হাজার গরু ও মহিষ এবং ৬ হাজার ছাগলের চামড়া সংরক্ষণ করা হয়েছে। মাদরাসা, এতিমখানা, লিল্লাহ বোর্ডিংয়ের মাধ্যমে সংরক্ষণ করা হয়েছে ৪ হাজার গরু ও মহিষের চামড়া।

নীলফামারীর বিভিন্ন আড়তে ১২ হাজার গরু ও মহিষ এবং ৮ হাজার ছাগলের চামড়া সংরক্ষণ করা হয়েছে। মাদরাসা, এতিমখানা, লিল্লাহ বোর্ডিংয়ের মাধ্যমে সংরক্ষণ করা হয়েছে ৪ হাজার ৫০০ গরু ও মহিষের চামড়া।

রংপুরের বিভিন্ন আড়তে ২৪ হাজার গরু ও মহিষ এবং ৮ হাজার ছাগলের চামড়া সংরক্ষণ করা হয়েছে। মাদরাসা, এতিমখানা, লিল্লাহ বোর্ডিংয়ের মাধ্যমে সংরক্ষণ করা হয়েছে ৮ হাজার গরু ও মহিষের চামড়া।

lathar_20250607_215402394

গাইবান্ধার বিভিন্ন আড়তে ৫০ হাজার গরু ও মহিষ এবং ৪ হাজার ছাগলের চামড়া সংরক্ষণ করা হয়েছে। মাদরাসা, এতিমখানা, লিল্লাহ বোর্ডিংয়ে সংরক্ষণ করা হয়েছে ৪ হাজার ৫০০ গরু ও মহিষের চামড়া।

লালমনিরহাটের বিভিন্ন আড়তে ১১ হাজার গরু ও মহিষ এবং ৩ হাজার ছাগলের চামড়া সংরক্ষণ করা হয়েছে। মাদরাসা, এতিমখানা, লিল্লাহ বোর্ডিংয়ে সংরক্ষণ করা হয়েছে ৩ হাজার গরু ও মহিষ এবং ১ হাজার ছাগলের চামড়া।

কুড়িগ্রামের বিভিন্ন আড়তে সংরক্ষণ করা হয়েছে ১৪ হাজার গরু ও মহিষ এবং ৪ হাজার ছাগলের চামড়া। মাদরাসা, এতিমখানা, লিল্লাহ বোর্ডিংয়ে সংরক্ষণ করা হয়েছে ৪ হাজার গরু ও মহিষ এবং ১ হাজার ছাগলের চামড়া।

সিলেট বিভাগ

সিলেট বিভাগের ৪ জেলার মাদরাসা, এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিংয়ে এ বছর কোরবানির ২ লাখ ৯ হাজার ৩৪৫টি গরু, মহিষ ও ছাগলের চামড়া সংগ্রহ করে লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করা হয়েছে।

এর মধ্যে, গরু ও মহিষের চামড়া সংখ্যা ১ লাখ ৮৭ হাজার ৩৪৫টি। আর ছাগলের চামড়ার সংখ্যা ২২ হাজার।

জেলাগুলোর মধ্যে সিলেটে সংরক্ষণ করা চামড়ার সংখ্যা ১ লাখ ১০ হাজার ৩৫০টি। এর মধ্যে গরু ও মহিষের চামড়া ৯৭ হাজার ৮৫০টি এবং ১২ হাজার ৫০০টি ছাগলের চামড়া। সুনামগঞ্জে ১৭ হাজার ৩০০টি চামড়া সংরক্ষণ করা হয়েছে। এর সবগুলো গরুর চামড়া।

বাকি দুই জেলার মধ্যে হবিগঞ্জে ৩২ হাজার ৭০টি চামড়া সংরক্ষণ করা হয়েছে। এর সবগুলো গরুর চামড়া। আর মৌলভীবাজারে সংরক্ষণ করা হয়েছে ৪৯ হাজার ৬২৫টি চামড়া। এর মধ্যে ৪০ হাজার ১২৫টি গরুর চামড়া এবং ৯ হাজার ৫০০টি ছাগলের চামড়া রয়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের তদারকিতে এসব চামড়া সংরক্ষণ করা হয়েছে সরকার সরবরাহ করা বিনামূল্যের লবণ দিয়ে।

উল্লেখ্য, এ বছর কোরবানির চামড়ার মূল্যবৃদ্ধি এবং এতিমদের হক আদায়ের উদ্দেশে সরকারের পক্ষ থেকে দেশের এতিমখানা, মসজিদ ও মাদরাসাগুলোতে বিনামূল্যে ৩০ হাজার মেট্রিক টন লবণ সরবারহ করা হয়। যাতে করে স্থানীয়ভাবে দুই থেকে তিন মাস চামড়া সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়।

এমআর/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর