মঙ্গলবার, ২৪ জুন, ২০২৫, ঢাকা

কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে লিচু, লাফিয়ে বেড়েছে জামের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০ জুন ২০২৫, ০৪:৪৮ পিএম

শেয়ার করুন:

Lichi

বাজারে সাধারণত শোয়া (১০০) হিসেবে লিচু কেনা-বেচা হয়। এভাবেই জনতা অভ্যস্ত। আবার ৫০টির বান্ডেল করেও বিক্রি হয়। কোথাও কোথাও ২০ করে মোঠা বেঁধেও বিক্রি হয় রসালো এই ফলটি।

সেই লিচুই যদি আম-জাম-পেয়ারার মতো কেজি দরে বিক্রি হয়, সেটি একটু আশ্চর্য হওয়ার বিষয়ই বটে। কিন্তু আশ্চর্য হলেও বর্তমানে কেজি দরেই বিক্রি হচ্ছে লিচু। রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে তার প্রমাণও মিলেছে।


বিজ্ঞাপন


বাজারদর অনুযায়ী, বিক্রেতারা প্রতি কেজি লিচু বিক্রি করছেন ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায়। কেউ শোয়া (১০০টি) হিসেবে নিতে চাইলে সেক্ষেত্রে দাম হাঁকা হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। ঈদের কয়েকদিন আগে থেকেই এমন চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে লিচু। 

এদিকে জ্যৈষ্ঠের গরমে লিচুর পাশাপাশি বাজার সরগরম আম, কাঁঠাল, জামের মতো মৌসুমী ফলেও। এসব ফলের ঘ্রাণে ম ম করছে বাজার৷ ঈদ উৎসবকে পুঁজি করে ফলগুলোর চড়া দাম হাঁকছেন বিক্রেতারা। 

এর মধ্যে আম-কাঁঠালের দাম গত বছরের মতোই। তবে লাফিয়ে বেড়েছে কালো জামের দাম। আকারভেদে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি জাম। যা এক সপ্তাহ আগেও ১০০ টাকার কাছাকাছি ছিল। 

2


বিজ্ঞাপন


হঠাৎ এমন দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের ছুটিতে সরবরাহ কম, অথচ চাহিদা বেশি। ফলে বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। 

এদিকে আমের দামে পাইকারি ও খুচরা বাজারে বেশ পার্থক্য দেখা গেছে। যাত্রাবাড়ী ফলের আড়তে গিয়ে জানা যায়, হিমসাগর পাইকারিতে কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। একই আম শনিরআখড়ায় ভ্যানে খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে। 

গোবিন্দভোগ আম আসে রাজশাহী ও দিনাজপুর থেকে। এ জাতের আম পাইকারি প্রতি কেজি ৫০ টাকা করে বিক্রির কথা জানান এক ব্যবসায়ী৷ তবে পাইকারি নিতে হলে নূন্যতম এক ক্যারেট নিতে হবে। প্রতি ক্যারেটের ওজন ২০-২২ কেজির মধ্যে। 

খুচরায় দাম বেশির কথা তুললে ওই ব্যবসায়ী বলেন, পাইকারি আর খুচরা দামে তফাৎ আছে। পাইকারি ৫০ টাকা হলেও খুচরা বাজারে ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করেন। 

কাঠালের দাম তুলনামূলক কম। ব্যবসায়ীরা জানান, এ বছর কাঁঠালের সরবরাহ ভালো। আশাকরি সামনের দিনগুলোতে ভালো বিক্রি হবে। আকারভেদে প্রতি পিস কাঁঠাল ৮০ টাকা থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। 

ক্রেতারা বলছেন, দর-দাম শুনে কিনতে সাহস লাগে না। কারণ দাম একটু বেশিই। তবে ঈদের রেশ কাটলে দাম একটু কমবে বলে আশা তাদের। একই কথা শোনা গেল ব্যবসায়ীদের মুখেও।  

এমআর/এএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর