পরিবারের সঙ্গে ঈদুল আজহা উদযাপনের পর রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছেন ঈদের ছুটিতে বাড়িতে যাওয়া লোকজন। নাড়ির টানে গ্রামে গেলেও জীবিকার দায়ে ফিরতে হচ্ছে শহরে। অন্যদিকে ঈদে বাড়িতে যেতে না পেরে কেউ কেউ এখন যাচ্ছেন গ্রামের বাড়িতে।
সোমবার (৯ জুন) যাত্রাবাড়ী-দোলাইরপাড়, সায়েদাবাদ এলাকা ঘুরে নগরবাসীর এমন ফেরার চিত্র দেখা গেছে।
বিজ্ঞাপন
এবার ঈদের ছুটি বেশি হওয়ায় এখনও রাজধানীতে ফিরতি গাড়ির চাপ পড়েনি। যেসব কর্মজীবীরা স্বল্প ছুটি পেয়েছেন কিংবা ছোটখাটো ব্যবসা করছেন এমন ব্যক্তিরাই এখন বেশি আসছেন।
সরেজমিনে রাজধানীতে দক্ষিণবঙ্গের প্রবেশপথ দোলাইরপাড়, যাত্রাবাড়ী ও সায়েদাবাদ ঘুরে দেখা গেছে, ছুটি চলাকালীন বিগত দিনগুলোর তুলনায় সড়কে বেড়েছে যান চলাচল। বেড়েছে সাধারণ মানুষের উপস্থিতিও। কিছুক্ষণ পর পর বরিশাল, কুষ্টিয়া, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, নড়াইল থেকে ছেড়ে আসা ফিরতি ঈদ যাত্রার বাস থামছে। তবে এখনও যাত্রীদের তেমন চাপ লক্ষ করা যায়নি।
পরিবারের সঙ্গে ঈদ আনন্দ শেষ করে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া থেকে রাজধানীতে ফিরেছেন শাকিল। তিনি বলেন, ইসলামপুরে তার ব্যবসা রয়েছে। আগামীকাল থেকে দোকান শুরু করবেন। তাই আজ ফিরে এসেছেন।
বিজ্ঞাপন
সালমান নাকিব ঢাকা মেইলকে বলেন, তিনি এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিবেন। ছুটি থাকা স্বত্ত্বেও তিনি পড়াশোনার তাগিদে ঢাকায় চলে এসেছেন।
আয়েশা বেগম নামে অপর যাত্রী চুয়াডাঙ্গা থেকে এসেছেন। তিনি বলেন, রাস্তা একদম ফাঁকা। খুব কম সময়ে চলে আসতে পেরেছি। জরুরি কাজ থাকায় চলে আসতে হয়েছে।
যাত্রাবাড়ী মোড়ে বাস থেকে নেমেছেন মধ্যবয়স্ক ইউসুফ আলী। তিনি কক্সবাজার থেকে এসেছেন। যাত্রাবাড়ী আড়তে ফলের ব্যবসা করেন বিধায় দ্রুত চলে এসেছেন তিনি।
একটি বেসরকারি ওষুধ কোম্পানিতে কর্মরত মোহাম্মদ হোসেন ঢাকা মেইলকে জানান, তিনি সিলেটের হবিগঞ্জ থেকে এসেছেন। সড়কে কোথাও তেমন যানজট ছিল না। কোনো ধরনের অসুবিধা ছাড়াই ঢাকায় পৌঁছালাম।
কাউন্টারগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঈদের আগে ঢাকা থেকে যাত্রীরা গ্রামে গিয়েছে। খালি গাড়ি ফিরতে হয়েছে। ঈদের পরের চিত্র ঠিক উল্টো। এখন ঢাকার বাইরে থেকে যাত্রীরা ফিরছেন। তবে খালি গাড়ি যাচ্ছে কম। মোটামুটি কিছু যাত্রী পাচ্ছেন প্রতি ট্রিপে।
শ্যামলী পরিবহনের সহকারী (হেল্পার) রাকিব জানান, এখনও ঈদের ছুটি চলমান। তাই যাত্রীর চাপ তুলনামূলক কম। আগামী শুক্রবার, শনিবার যাত্রীদের চাপ বাড়বে।
এমআর/এফএ