ঈদুল আজহার তৃতীয় দিনেও ঢাকার সড়কগুলো ছিল প্রায় ফাঁকা। কর্মব্যস্ত এই মহানগরীতে সাধারণ দিনে যে সড়ক পাড়ি দিতে ঘণ্টাখানেক সময় লাগে, ঈদের ছুটির আমেজে তা মাত্র ১৫-২০ মিনিটেই সম্ভব হয়েছে। বাড্ডা, পল্টন ও বিমানবন্দর সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, যানজটের তেমন কোনো চিহ্ন নেই। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি পরিবহন চালকরাও এই অবস্থাকে ‘স্বস্তিদায়ক’ বলে মনে করছেন।
সোমবার (৯ জুন) সকাল বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, গাড়ির চাপ ছিল অনেক কম। গুলিস্তান থেকে কাকরাইল হয়ে বাড্ডা পর্যন্ত যে রাস্তায় সাধারণত ব্যস্ততম সময়গুলোতে এক থেকে দেড় ঘণ্টা লাগে, সেই রাস্তা পাড়ি দিতে লেগেছে মাত্র ১৫-২০ মিনিট।
বিজ্ঞাপন
উত্তরা থেকে পল্টনগামী ভিক্টর পরিবহনের একজন বাসচালক বলেন, আজ সকাল ৮টা থেকে গাড়ি চালাচ্ছি। প্রতিদিন এই বাড্ডা থেকে গুলিস্তান যেতেই এক ঘণ্টা লাগে। কিন্তু আজ ১৫ মিনিটেই গুলিস্তানে পৌঁছে গেছি।
বাড্ডা লিংক রোডে দেখা যায়, প্রাইভেট কার, সিএনজি ও কিছু বাস চললেও সংখ্যা খুবই সীমিত। পথচারীও কম। রিকশাও ছিল হাতে গোনা। বাড্ডা এলাকার বাসিন্দা শাহিন আলম বলেন, বছরের এই কয়েকটা দিনই আমরা ফাঁকা রাস্তায় একটু স্বস্তি পাই। বাচ্চাদের নিয়ে বেড়াতে বের হয়েছি, যানজট না থাকায় মজা লাগছে।
রাজধানীর অন্যান্য সড়কেও একই চিত্র দেখা গেছে। উত্তরা থেকে মহাখালী পর্যন্ত এই ব্যস্ত সড়কে সোমবার দুপুরে প্রায় কোনো জ্যাম চোখে পড়েনি। এই রুটের একজন বাসচালক বলেন, সাধারণ দিনে এই পথে কমপক্ষে ৪-৫ বার থেমে থেমে যেতে হয়, আজ একবারও দাঁড়াতে হয়নি।
পল্টন মোড়ে দায়িত্বরত একজন ট্রাফিক পুলিশ সদস্য জানান, গতকালও সড়কে গাড়ি ছিল কম, তবে আজ আরও কম। ঈদের ছুটি ও অধিকাংশ মানুষ রাজধানীর বাইরে থাকায় সড়কগুলো ফাঁকা। কোনো যানজটের খবর নেই। কোথাও ট্রাফিক সিগন্যালও লাগছে না অনেক সময়।
বিজ্ঞাপন
এদিকে রাজধানীতে যারা ঈদের ছুটিতে বাইরে যাননি, তাদের অনেকেই এই সময়টাকে ব্যবহার করছেন পরিবার নিয়ে ঘুরে বেড়াতে কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাতে। তাই শহরজুড়ে এক ধরনের প্রশান্তির আবহ বিরাজ করছে।
টিএই/এফএ