বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন, ২০২৫, ঢাকা

ঈদের ছুটিতে দোকানিরা হতাশ, বিক্রি নেই দোয়েল চত্বরের মাটির পণ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮ জুন ২০২৫, ০৭:০৫ পিএম

শেয়ার করুন:

ঈদের ছুটিতে দোকানিরা হতাশ, বিক্রি নেই দোয়েল চত্বরের মাটির পণ্যে

ঈদের লম্বা ছুটিতে  রাজধানী ঢাকার প্রায় সকল শপিংমল, বিপণি বিতান ও বাজার বন্ধ থাকলেও খোলা রয়েছে দোয়েল চত্বরের ফুটপাতে গড়ে উঠা মাটির পণ্যের দোকানগুলো। তবে দোকান খোলা থাকলেও ক্রেতার তেমন আনাগোনা নেই। ফলে হতাশা বিরাজ করছে দোয়েল চত্বরের দোকানিদের মধ্যে।

রোববার (৮ জুন) দোয়েল চত্বরের মাটির পণ্যের মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, রাজধানীর অন্য সকল বিনোদন কেন্দ্রের তুলনায় এই এলাকা একেবারেই ফাঁকা। ক্রেতাদের তেমন ভিড় নেই। দোয়েল চত্বর এলাকায় মাটির তৈরি বিভিন্ন হস্তশিল্প ও শোপিস বিক্রেতারা বলছেন, প্রতি বছর ঈদের আগে-পরে কিছু পর্যটক বা সৌখিন ক্রেতা এলেও এবার সাড়া নেই বললেই চলে। ঢাকাবাসীর বড় একটি অংশ ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়ি চলে যাওয়ায় নগরী প্রায় ফাঁকা। আর যারা আছেন, তারা কেনাকাটায় অনাগ্রহী।


বিজ্ঞাপন


মাটির তৈরি বিভিন্ন হস্তশিল্পের বিক্রেতা আকরাম হোসেন বলেন, আজ তো ঈদের দ্বিতীয় দিন তবুও কাস্টমার কম। ঈদ উপলক্ষে যে চাপ হওয়ার কথা তা কিন্তু হয়নি। এমনকি স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কম বিক্রি হচ্ছে কারণ ক্রেতার সংখ্যা কম। তবে কোরবানির ঈদের ছুটির চেয়ে রোজার ঈদের ছুটিতে বেশি বিক্রি হয় এবং কাস্টমারের চাপ থাকে বেশি। আগামীকাল থেকে একটু বেচাকেনা বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

দোকানি আব্দুল মান্নান জানান, আমরা ভেবেছিলাম, অন্তত কিছু পর্যটক আসবে। কিন্তু সে অনুযায়ী তেমন ক্রেতা আসেনি। আশা করছি আগামীকাল থেকে ক্রেতাদের আনাগোনা বাড়বে।

অন্য এক দোকানদার বলেন, কোরবানির ঈদে ঢাকা শহরের বেশিরভাগ মানুষই বাড়ি চলে যান। আর যারা ঢাকায় থাকেন তারা কেনাকাটার চেয়ে ঘুরে বেড়াতে বেশি পছন্দ করেন। যেসময় ‘কার্জন হল’ সবার জন্য উন্মুক্ত ছিলো, সেসময় ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষজন এখানে আসতো; এতে বিক্রি ভালো হতো। এখন কার্জন হলে সবাই যেতে পারে না। তাই এদিকে মানুষের আসাও কমে গেছে, আমাদের বিক্রিও কমে গেছে।

দোয়েল চত্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে অবস্থিত একটি পরিচিত মোড়, যা জাতীয় পাখি দোয়েলের ভাস্কর্য দিয়ে চিহ্নিত। এটি শুধু একটি রাস্তার মোড় নয় বরং রাজধানীর অন্যতম মৃৎশিল্প ও হস্তশিল্প বাজার। এখানে মাটি ও বাঁশের তৈরি শোপিস, ফুলদানি, খেলনা ও ঘর সাজানোর সামগ্রী বিক্রি হয়। বিশেষ দিনে যেমন পহেলা বৈশাখ বা ঈদ কিংবা পূজায় এখানে বিক্রির ভিড় থাকলেও ছুটির সময়ে, বিশেষ করে ঈদের লম্বা ছুটিতে ক্রেতার অভাবে ব্যবসায় মন্দা দেখা দেয়।


বিজ্ঞাপন


এমএইচএইচ/এফএ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর