ঈদুল আজহার লম্বা ছুটিতে কয়েক লাখ মানুষ ঢাকা ছেড়েছে। ঈদের পরের দিনেও তাই প্রায় ফাঁকা দেখাচ্ছে রাজধানীর বিভিন্ন ব্যস্ততম সড়ক। ফলে দেখা দিয়েছে গণপরিবহন সংকট।
রোববার (৮ জুন) বিকেলে বাড্ডা, রামপুরা, পল্টন, গুলিস্তান ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। তবে আস্তে আস্তে গাড়ির পরিমাণ বাড়তে শুরু করেছে।
বিজ্ঞাপন
বছরের দুই ঈদেই এমন দৃশ্য দেখা যায়। যানজট মুক্ত সড়কে দ্রুত সময়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়া যাচ্ছে। এতে স্বস্তি পাচ্ছেন রাজধানীতে থাকা লোকজন। তবে গণপরিবহণের সংকট থাকার অভিযোগ করছেন অনেক যাত্রী। দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। ফলে অনেককেই নির্ভর করতে হচ্ছে সিএনজি-অটোরিকশার ওপর।
এদিকে সিএনজি-অটোরিকশায় ইচ্ছেমতো ভাড়া হাঁকাচ্ছে চালকরা। উপয়ান্তর না থাকায় অনেকেই বাড়তি ভাড়া দিয়ে যাচ্ছেন কোনো আত্মীয়ের বাসায় কিংবা বিনোদনের কোনো স্থানে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কে কিছু গণপরিবহন চললেও সংখ্যায় তা অনেক কম। আবার সেই কম সংখ্যক গণপরিবহনেও নেই সাধারণ সময়ের মতো ভিড়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানীর গণপরিবহনের অধিকাংশ পরিবহন দূরপাল্লার যাত্রী আনতে ব্যস্ত সময় পার করছে।
বিজ্ঞাপন
কল্যাণপুরের সাজিদ ঢাকা মেইলকে জানান, কোরবানির মাংস আত্মীয়-স্বজনের বাসায় দিতে হয়। সড়ক ফাঁকা থাকায় দ্রুতই গন্তব্যে যাওয়া যাচ্ছে।
রামপুরা এলাকার বাসিন্দা মোস্তফা জানান, এবার শহরেই ঈদ করেছি। গ্রামে যাওয়ার সুযোগ হয়নি। আজ ধানমন্ডিতে এক আত্মীয়ের বাসায় যাওয়ার জন্য বের হয়েছি। কিন্তু গাড়ি পাচ্ছি না। সিএনজি বেশি ভাড়া চাচ্ছে।
এমআর/এফএ