বুধবার, ২৫ জুন, ২০২৫, ঢাকা

দুই ঘণ্টায় কোরবানির গরু কাটার কাজ শেষ করে শরীফ ও তার দল

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭ জুন ২০২৫, ১১:১৪ এএম

শেয়ার করুন:

দুই ঘণ্টায় কোরবানির গরু কাটার কাজ শেষ করে শরীফ ও তার দল

ঈদুল আজহার কোরবানিকে কেন্দ্র করে কর্মব্যস্ত সময় পার করছেন পেশাদার কসাই শরীফ ও তার দুই সহযোগী। দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার কারণে মাত্র দুই ঘণ্টায় একটি মাঝারি আকৃতির গরুর কোরবানির কাজ সম্পন্ন করছেন বলে জানিয়েছেন তারা। বড় গরুর ক্ষেত্রেও সময় লাগছে সর্বোচ্চ তিন ঘণ্টা।

শনিবার (০৭ জুন) রাজধানীর ঝিগাতলা এলাকায় কথা হয় কসাই শরীফ ও তার দলের সঙ্গে। 


বিজ্ঞাপন


শরীফ জানান, ঈদে তো একটি দিনই মাত্র। আমাদের পরিকল্পনা থাকে যত কম সময়ের মধ্যে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নভাবে এবং ইসলামী নিয়ম মেনেই কাজ শেষ করে আরেটি কাজে যেতে পারি।

তিনি বলেন, ‘আমার দলে আমিসহ তিনজন কাজ করি। আল্লাহর রহমতে আমরা তিনজন মিলে প্রতিটি গরুর কাটাকাটি, চামড়া ছাড়ানো, মাংস কাটা ও গোশত ভাগসহ সকল কাজ শেষ করতে ২ থেকে তিন ঘন্টা সময় লাগে।’

একটি গরুর জবাই থেকে শুরু করে সব কাজ শেষ করতে কত টাকা নিচ্ছেন জানতে চাইলে শরীফ বলেন, ‘গরুপ্রতি নির্দিষ্ট কোনো টাকা আমরা ঠিক করি না। যে গরুর যে দাম হবে তার ওপর আমরা আমাদের কাজের পারিশ্রমিক ঠিক করি। বড় গরু হলে ১ হাজার ২০০ টাকা নিচ্ছি আর ছোট গরু হলে ১ হাজার টাকা ১৫০ টাকা।

তারা জানান, ঈদের একদিন আগে থেকেই তারা বিভিন্ন বাড়িতে প্রাথমিক কাজ করে রাখেন। গরু দেখাশোনা, রশি বাঁধা, কোরবানির স্থান প্রস্তুত ইত্যাদি। ঈদের দিন সকাল ৭টা থেকে কাজ শুরু করে দিনভর ৭-৮টি গরু পর্যন্ত কোরবানি সম্পন্ন করেন তারা।


বিজ্ঞাপন


স্থানীয় বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা গত চার বছর ধরে শরীফ ভাইকেই ডাকছি। সময়মতো আসেন, সুন্দরভাবে কাজ করেন। ওনার মতো কসাই আজকাল পাওয়া দুষ্কর।’

শরীফের মতো অভিজ্ঞ কসাইয়ের কদর এখন অনেক। ঈদের আগেই তার বুকিং শেষ হয়ে যায়। কেউ কেউ এক বছর আগেই অগ্রিম বুকিং দিয়ে রাখেন।

ঈদুল আজহার কোরবানির মৌসুমে এভাবেই সারাদেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা দক্ষ কসাইদের হাতেই হয় হাজারো পশুর সুষ্ঠু ও নিখুঁত কোরবানি। শরীফ ও তার দলের মতো অনেকেই এই কাজকে শুধু পেশা নয়, বরং ধর্মীয় দায়িত্ব হিসেবে দেখেন।


এমএইচএইচ/ইএ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর