ঈদুল আজহা সামনে রেখে রাজধানীর বিভিন্ন কামারপাড়ায় ক্রেতাদের ভিড়। কামাররাও শেষ সময়ে পার করছেন ব্যস্ত সময়। তবে বাড়তি চাহিদার সুযোগে অতিরিক্ত দাম রাখার অভিযোগ রয়েছে ক্রেতাদের।
শুক্রবার (৬ জুন) শ্যামপুর, যাত্রাবাড়ীর বিভিন্ন দোকানে দেখা গেছে দা, ছুরি, চাপাতি ও বটি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামাররা।
কোরবানির পশু জবাইয়ের জন্য অনেকে ছুরি, চাকু কিনছেন। কেউবা পুরাতনগুলোর শাণ দিতে নিয়ে এসেছেন। পাশাপাশি মাংস কাটার জন্য দা, বটি, চাপাতি, রামদার মেরামত ও বিক্রিতে ধুম পড়েছে এসব এলাকায়।
বিজ্ঞাপন
ক্রেতাদের অভিযোগ, পশু কাটার নানা ধরনের সরঞ্জামাদিতে আগের তুলনায় নেওয়া হচ্ছে বেশি দাম। কোরবানির মৌসুমে বাড়তি চাহিদার সুযোগে পকেট কাটছে তারা।
সরেজমিনে রাজধানীর শনিরআখড়া এলাকায় দেখা যায়, কামারির দোকানে দাউ দাউ করে জ্বলছে চুল্লির লাল শিখার আগুন। সেই লাল আগুনের চুল্লিতে দেওয়া হচ্ছে একের পর এক লোহার টুকরো; তার পাশেই গরম লোহাতে হাতুড়ি পেটায় দম ফেলার ফুরসত নেই কামারশালার কারিগরদের।
কামারশালার কারিগর ও দোকানিরা বলছেন, ক্রেতার সমাগম বেশি থাকলেও বিক্রির পরিমাণ আগের তুলনায় অনেক কম। অপরদিকে কেজি দর থেকে শুরু করে পিস হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছে কোরবানির পশু কাটার নানা ধরনের দা, বটি ও ছুরি।
বিজ্ঞাপন
একজন কামার বলেন, লোহার হাতলযুক্ত দা ও কাঠের হাতলযুক্ত দা এবং বটি দা বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা থেকে দুই হাজার ৬০০ টাকায়। পশুর চামড়া আলাদা করার ছোট ছুরি, চাকু ৫০ টাকা থেকে ১০০ টাকা, মাঝারি ৬০ টাকা থেকে ১২০ টাকা এবং বড় ছুরি ১০০ টাকা থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া লম্বা ছুরি ২০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা, জবাই করার ছুরি ২৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা, চাপাতি সাড়ে ৩৫০ টাকা থেকে ৭০০ টাকা, কুড়াল ১৬০ টাকা থেকে এক হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ঈদ উপলক্ষে দা, বটি, ছুরি কিনতে এসে ক্রেতারা বলছেন, দাম নেওয়া হচ্ছে আগের তুলনায় কিছুটা বেশি। তবে দা-ছুরির বাজার কিছুটা ভালো।
কামার বিধান কর্মকার ঢাকা মেইলকে বলেন, এই পেশা আমাদের পরিবারের শত বছরের ঐতিহ্য। সারা বছর টুকটাক কাজ থাকলেও প্রতি বছর কোরবানির ঈদে বিক্রি বেড়ে যায়।
এমআর/এফএ