নির্দিষ্ট স্থানে প্রায় সবগুলো গরুর হাট বসলেও বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার অলিগলিতে যেখানে সেখানে বসেছে ছাগলের হাট। শুক্রবার (৬ জুন) সকাল থেকেই চলছে বেচা-কেনা। এসব বেচা-কেনায় লাগছে না হাসিল খরচও।
রাজধানীর বাড্ডা লিংক রোড, মালিবাগ রেলগেট, শান্তিনগর, মগবাজার, বাংলামোটর, কলাবাগান, ধানমন্ডি, মিরপুর এলাকার বিভিন্ন আবাসিক এলাকার মোড়ে মোড়ে বসেছে এসব তাৎক্ষণিক হাট। সাধারণত যাদের আয় কিছুটা কম ও মধ্যবিত্ত শ্রেণি যাদের একা কোরবানি দেওয়ার সামর্থ নেই তারাই ঝুঁকছেন ছাগল কোরবানিতে। অথবা কেউ গরুর পাশাপাশি দিচ্ছেন ছাগল কোরবানি।
বিজ্ঞাপন
রাজধানীর বড্ডা লিংক রোডের মোল্লাপাড়ার গেটে টাঙ্গাইল থেকে ১২টি ছাগল নিয়ে এসেছেন ইমরান নাজির। ৮-১০ কেজি ওজনের ছাগলের দাম চাচ্ছেন ১৫ হাজার টাকা। তিনি বলেন, প্রত্যেক বছর ১০-২০টা করে ছাগল নিয়ে আসি। রাস্তায় বিক্রি করি। এতে হাসিল দেওয়া লাগে না। আবার হাটের থেকেও ৫০০-১০০০ টাকা বেশি দামে বিক্রি করা যায়।
উত্তর বাড্ডা থেকে আসা খায়রুল বলেন, এ বছর খাসি কোরবানি দেব। এখানেই প্রত্যেক ঈদে ছাগল পাওয়া যায়। তাই ছাগল কিনতে হাটে না গিয়ে এই সড়কের হাটেই এসেছি।
মালিবাগ রেলগেটেও বসেছে ছাগলের হাট। মানিকগঞ্জ থেকে ২০টি ছাগল নিয়ে এসেছেন রহিম মিয়া। ১২টি ছাগল বিক্রি করেছেন। আরও ৮টি ছাগল আছে। তিনি বলেন, বাড়তি লাভের আশায় ঢাকায় ছাগল নিয়ে এসেছি। আজ বিকেলের মধ্যে বিক্রি করে বাড়িতে যাব। এইখানে ছাগল কিনতে আসা সাইদুর বলেন, গতকাল হাট থেকে গরু কিনেছি। আর একটা ছাগল কোরবানি দেব। হাটের থেকে মোড়ে ছাগলের দাম খুব বেশি না। তাই আর হাটে যায়নি। মোড় থেকেই ছাগল কিনছি।
এছাড়াও বৃষ্টির কাদা-পানিতে হাটে যাওয়ার ঝামেলা থেকে বাঁচতেও এসব অলিগলিতে ছাগল কিনছেন অনেকে। ছাগল বিক্রির পাশাপাাশি বিক্রি হচ্ছে ছাগলের খাবার, গাছের পাতা, ঘাস ইত্যাদি।
বিজ্ঞাপন
টিএই/এফএ