শনিবার, ১৪ জুন, ২০২৫, ঢাকা

কল্যাণপুর থেকে গাবতলীতে তীব্র যানজট, দুর্ভোগে ঘরমুখো মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫ জুন ২০২৫, ০৪:১১ পিএম

শেয়ার করুন:

কল্যাণপুর থেকে গাবতলীতে তীব্র যানজট, দুর্ভোগে ঘরমুখো মানুষ

ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে রাজধানী ছেড়ে প্রিয়জনদের কাছে ফেরার উদ্দেশে কল্যাণপুর ও গাবতলী বাসস্ট্যান্ডে জড়ো হয়েছেন হাজারো যাত্রী। তবে গাবতলী পশুর হাট কেন্দ্র করে এই এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট, যা যাত্রীদের যাত্রাপথকে আরও দুর্বিষহ করে তুলেছে।

বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সরেজমিনে দেখা যায় কল্যাণপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে গাবতলী বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত থেমে থেমে চলছে যানবাহন। পশুবাহী ট্রাক, গরুর হাটে আগত ক্রেতা-বিক্রেতা এবং যাত্রীবাহী বাসের চাপে পুরো সড়কজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘ যানজট। একপর্যায়ে অনেক যাত্রী বাস থেকে নেমে হেঁটে যাওয়ার চেষ্টা করলেও প্রচণ্ড ভিড় এবং ভাঙাচোরা রাস্তায় তাও হয়ে উঠছে প্রায় অসম্ভব।


বিজ্ঞাপন


যাত্রাপথে অপেক্ষারত যাত্রী রাব্বি বলেন, কল্যাণপুর থেকে বাসে উঠেছি দুপুর ১২টায় এখন পর্যন্ত গাবতলি পার হতে পারলাম না। হাটের ভিড়ে সব রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। এটা কীভাবে ম্যানেজমেন্ট হচ্ছে বোঝা যাচ্ছে না।

পায়ে হেঁটে গাবতলির দিকে যাওয়া যাত্রী রহিম। পেশায় পোশাক শ্রমিক। তিনি ঢাকা মেইলেকে বলেন, গত ঈদে রাস্তায় এত জ্যাম ছিল না। এবার কেনো এত জ্যাম বুঝতে পারছি না। শুনলাম হাইওয়েতে প্রচুর জ্যাম। অনেকে বলছে গাবতলী হাটের কারণে এ জ্যাম তৈরি হয়েছে। গাবতলি থেকে আমার বাস। এখনই এ অবস্থা সন্ধ্যা হতে হতে কি হবে আল্লাহ জানে।

শ্যামলী পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার কিশোর বলেন, গাবতলী হাটের কারণে এ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। কোরবানির ঈদে সবচেয়ে বড় যানজটের মধ্যে এটি একটি। একদিকে যাত্রীদের চাপ অন্যদিকে গরুর হাট। মূলত এ দুই কারণে এই তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

কল্যাণপুর থেকে গাবতলীর রাস্তায় দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশরা জানান, গাবতলী হাট ও বাসস্ট্যান্ড এক জায়গায় হওয়ায় এই সময়ে চাপ কয়েকগুণ বেড়ে যায়। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন।


বিজ্ঞাপন


Jam2

এদিকে অনেকে আশঙ্কা করছেন, সময়মতো গ্রামের বাড়িতে পৌঁছাতে না পারলে ঈদের আনন্দ ম্লান হয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে নারী, শিশু ও বৃদ্ধ যাত্রীদের ভোগান্তি সবচেয়ে বেশি।

পশুর হাট ও বাসস্ট্যান্ডকে পৃথকভাবে পরিচালনার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই দাবি জানিয়ে আসছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও নগর পরিকল্পনাবিদরা। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখনও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।

এমএইচএইচ/এফএ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর