শনিবার, ১৪ জুন, ২০২৫, ঢাকা

উন্মুক্ত স্থানে পশু জবাই ও যত্রতত্র বর্জ্য না ফেলার আহ্বান সরকারের

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫ জুন ২০২৫, ০১:২৬ পিএম

শেয়ার করুন:

কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের আহ্বান

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর বর্জ্য পরিবেশসম্মতভাবে ব্যবস্থাপনায় নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ সময় যত্রতত্র পশু জবাই, উচ্ছিষ্ট ফেলা ও বর্জ্য ফেলে রাখার কারণে পরিবেশ দূষণ, স্বাস্থ্যঝুঁকি ও জনদুর্ভোগ তৈরি হয়, যা প্রতিরোধে সকলের সচেতন অংশগ্রহণ প্রয়োজন।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে পরিবেশ মন্ত্রণালয় এই আহ্বান জানিয়েছে।


বিজ্ঞাপন


বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্ধারিত স্থানে কোরবানির পশু জবাই নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে পরিবেশ মন্ত্রণালয়।

১. উন্মুক্ত বা অনির্ধারিত স্থানে পশু জবাই থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে । জবাইয়ের সময় ও পরবর্তী কার্যক্রমে যথাযথ ব্যক্তিগত সুরক্ষা যেমন: গ্লাভস, মাস্ক, অ্যাপ্রোন প্রভৃতি নিশ্চিত করতে হবে। পশুর রক্ত, গোবর ও অন্যান্য পরিত্যক্ত অংশ নির্ধারিত গর্তে ফেলে মাটি চাপা দেওয়ার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

২. জবাইকৃত পশুর উচ্ছিষ্ট যেমন: রক্ত, চামড়া, নাড়িভুঁড়ি, হাড়, শিং, গোবর ইত্যাদি যেন কোনো অবস্থাতেই খোলা জায়গায় না ফেলা হয়, বরং নির্ধারিত ডাস্টবিন বা স্থানেই ফেলা উচিত। কোরবানির মাংস বিতরণ বা বর্জ্য অপসারণে প্লাস্টিক নয়, বরং পরিবেশবান্ধব (বায়োডিগ্রেডেবল) ব্যাগ বা পাত্র ব্যবহারে উৎসাহিত করা হচ্ছে।

৩. কোরবানির বর্জ্য দ্রুত ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে অপসারণে স্থানীয় প্রশাসনকে সক্রিয়ভাবে সহায়তা করা আমাদের সামাজিক ও নাগরিক দায়িত্ব। পরিবেশ রক্ষার মাধ্যমে আমরা যেমন নিজেরা সুস্থ থাকি, তেমনি আমাদের চারপাশকেও নিরাপদ রাখি।


বিজ্ঞাপন


৪. পরিচ্ছন্নতা শুধু শারীরিক নয়, এটি আমাদের ঈমানেরও অঙ্গ। আসুন, পরিচ্ছন্ন কোরবানির মাধ্যমে আমরা আমাদের ধর্মীয়, সামাজিক ও নৈতিক দায়িত্ব পালন করি এবং একটি স্বাস্থ্যসম্মত, পরিচ্ছন্ন ও পরিবেশবান্ধব বাংলাদেশ গড়তে এগিয়ে আসি।

এমআর/এফএ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর