সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫, ঢাকা

অনুকূল আবহাওয়ায় জমে উঠেছে সারুলিয়া হাট, ক্রেতাদের চাহিদা মাঝারি গরু

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪ জুন ২০২৫, ০৬:৩৪ পিএম

শেয়ার করুন:

অনুকূল আবহাওয়ায় জমে উঠেছে সারুলিয়া হাট, ক্রেতাদের চাহিদা মাঝারি গরু

টানা কয়েকদিন বৃষ্টির পর আজ অনুকূল আবহাওয়া থাকায় রাজধানীর পশুর হাটগুলোতে কোরবানির গরু বিক্রি বেড়েছে। ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের দেখে বিক্রেতারা রয়েছেন ফুরফুরে মেজাজে। বেশিরভাগ ক্রেতার পছন্দ মাঝারি আকারের গরু।

আজ বুধবার (৪ জুন) রাজধানীর ডেমরায় ৮৪ বছরের ঐতিহ্যবাহী সারুলিয়া স্থায়ী পশুর হাটে এমন চিত্র দেখা গেছে।


বিজ্ঞাপন


সরেজমিনে দেখা যায়, ঈদুল আজহা সামনে রেখে রাজধানীর ডেমরার সারুলিয়া গরুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে। আজ আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় হাটে বেচাকেনা কিছুটা বেড়েছে। বিশেষ করে মাঝারি আকারের গরুর প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ বেশি দেখা গেছে।

হাটে গরুর সরবরাহ মোটামুটি সন্তোষজনক হলেও, অনেক ক্রেতা এখনও শুধু দেখে যাচ্ছেন, দাম যাচাই করছেন। বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের দিন যত ঘনিয়ে আসবে, বেচাকেনাও তত বাড়বে।

গরুর দাম সম্পর্কে জানতে চাইলে এক বিক্রেতা জানান, মাঝারি গরুর দাম ১ লাখ থেকে ২ লাখের মধ্যে। বড় গরুর দাম ৪ লাখ থেকে ৮ লাখ হাঁকছে। তবে ক্রেতাদের অনেকেই মনে করছেন, দাম এখনও কিছুটা বেশি, তাই সময় নিয়ে অপেক্ষা করছেন।

সিরাজগঞ্জ থেকে আসা সোহাইল নামে এক খামারি ঢাকা মেইলকে বলেন, ৩৫টি গরু নিয়ে এসেছি। বৃষ্টির মধ্যে একটিও বিক্রি হয়নি। আজ সুন্দর আবহাওয়ায় ১ লাখ ৬০ হাজার টাকায় একটি গরু বিক্রি হয়েছে। ক্রেতার সংখ্যা আস্তে আস্তে বাড়ছে আশা করি সবগুলো বিক্রি হবে।


বিজ্ঞাপন


গরুর দামের বিষয়ে জানতে চাইলে একজন ব্যাপারী ঢাকা মেইলকে বলেন, দাম তেমন বাড়েনি। তবে আমাদের খরচ অনেক বেড়ে গেছে। আগে এক বস্তা ভুষি কেনা যেত ১২০০ টাকায়। যা এখন ২ হাজার টাকা। এভাবে সব কিছুর দামই বেড়েছে। উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় অনেক খামারি গরুর সংখ্যা কমিয়ে ফেলেছেন। ফলে বাজারে ন্যায্য দাম না পেলে আমরা হতাশ হই। 

সুমন মিয়া নামে এক বিক্রেতা জানান, এবার হাটে বড় গরুর চাহিদা কম। আমার কিছু গরু আকারে বড়, কিছু ছোট। ছোটগুলোর দাম বলছে সবাই। এর মধ্যে তিনটি বিক্রি হয়ে গেছে। বড় গরুর কাটতি নেই।

Cow1

গরু কিনতে আসা রহমত আলী বলেন, গরু দেখতে এসেছি। আগে দাম-দর বুঝি তারপর কেনা হবে। আমাদের শরিকদের সঙ্গেও আলাপ-আলোচনা করে কিনতে হবে। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এ বছরও নদীপথে পাবনা, সিরাজগঞ্জ, বেড়া, করসালিকা, শাহজাদপুর, ফরিদপুর ও আশপাশের এলাকা থেকে গরু আসছে। নিরাপদে ও কম খরচে স্বাচ্ছন্দ্যে গরু আনা যায় বলে নদীপথেই গরু আনতে পাইকারদের আগ্রহ বেশি। তবে বৃষ্টির কারণে এ বছর ভাড়া বেশি দিতে হয়েছে। 

পাবনা, সিরাজগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, টাঙ্গাইল, বনগ্রাম ও কুষ্টিয়াসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ডেমরায় ট্রাকযোগেও গরু আসছে। 

তবে এ বছর ভাড়া ২০ শতাংশ বেশি পড়েছে বলে গরু বেশি দামে বিক্রি করতে হবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। 

এমআর/এফএ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর