ঈদুল আজহার আর বাঁকি আছে মাত্র তিনদিন। এই মুহূর্তে কেউ পশু কিনেছেন, আবার কেউ পছন্দসই পশু খুঁজে বেড়াচ্ছেন। পছন্দের পশু কেনার পর কোরবানি দেওয়ার সরঞ্জাম কিনতে দা, ছুরি, চাপাতির দোকানগুলোতে ভিড় জমাচ্ছেন সবাই।
মঙ্গলবার (৪ জুন) গাবতলী হাটের প্রবেশমুখে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
বিজ্ঞাপন
সরেজমিনে দেখা যায়, হাটের সামনে সব অস্থায়ী দোকানে পশু জবাই থেকে শুরু করে চামড়া ছাড়ানো এবং মাংস কাটার কাজে ব্যবহৃত দা, ছুরি, চাপাতি, বটি ইত্যাদি সরঞ্জাম কেনার হিড়িক পড়েছে ।
দোকানিরা জানান, সারা বছর সেভাবে কাজ থাকে না তবে এই ঈদ আসলে প্রচুর বেচাকেনা হয়। এবার অনন্যা বছরের তুলনায় কমই বিক্রি হচ্ছে। ইদের একদিন আগে সবচেয়ে বেশি সরঞ্জাম বিক্রি হয় বলেও জানান তারা।
দোকানি সূত্রে জানা যায়, লোহার বাটযুক্ত দা ও কাঠের বাটযুক্ত দা এবং বটি দা বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা থেকে দুই হাজার ৫০০ টাকায়। পশুর চামড়া আলাদা করার ছোট ছুরি ৫০ টাকা থেকে ৮০ টাকা, মাঝারি ৫০ টাকা থেকে ৯০ টাকা এবং বড় ছুরি ৮০ টাকা থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া লম্বা ছুরি ২০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা, জবাই করার ছুরি ২৫০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা, চাপাতি সাড়ে ৩৫০ টাকা থেকে ৭০০ টাকা, কুড়াল ১৬০ টাকা থেকে এক হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
আজম আলী নামের একজন ক্রেতা বলেন, প্রতি বছরই নতুন কিছু সরঞ্জাম কিনতে হয়। কারণ, সারা বছর ওসব ব্যবহার হয় না তাই আগের বছরেরটা দিয়ে ভালো কাজও না। ফলে নতুন সরঞ্জাম কিনলে কাজ ভালো হয়।
কোরবান আহমেদ নামের একজন তরুণ বলেন, কোরবানির পশু কেনা হয়েছে একটু আগে তাই এবার সরঞ্জাম কিনতে এসেছি।
দোকানি বরকত উল্লাহ বলেন, সার বছর খুব অল্প পরিমাণে বেচাকেনা হয়। তবে ইদের আগে প্রচুর চাহিদা থাকেম তাই আগে থেকেই কিছু সরঞ্জাম তৈরি করে রাখি। এছাড়া গ্রাহকদের চাহিদা অনুসারে আমরা সরঞ্জাম তৈরি এবং সরবরাহ করে থাকি।
এএসএল/এমএইচটি