বুধবার, ১৮ জুন, ২০২৫, ঢাকা

রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের আলোকে জুলাই সনদ হবে: আলী রীয়াজ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩ জুন ২০২৫, ০৩:২০ পিএম

শেয়ার করুন:

Ali Riaj
ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে কথা বলছেন আলী রিয়াজ।

সংস্কার প্রশ্নে কোনো একটি বিষয়ে কমিশনের প্রস্তাবই চূড়ান্ত কথা নয়। রাজনৈতিক দলগুলো যেসব মতামত দিয়েছে এবং দলগুলোর সঙ্গে যেসব আলোচনা হয়েছে, সেই আলোকেই ‘ন্যূনতম ঐকমত্যের’ ভিত্তিতে জাতীয় সনদ (জুলাই সনদ) করা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐক্যমত কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ।

মঙ্গলবার (০৩ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের দ্বিতীয় দফার আলোচনায় একথা বলেন তিনি।


বিজ্ঞাপন


এই বৈঠকে সভাপতিত্বও করেছেন তিনি।

আলী রীয়াজ বলেন, ‘সবার সম্মতি থাকলে আমরা সেগুলো অন্তর্ভুক্ত করব। এই পর্যায়ের আলোচনায় সেইটুকু আমরা অর্জন করতে চাই।’

তিনি জানান, প্রতিটি বিষয়ে একমত না হওয়া গেলেও সময় স্বল্পতার কথা মাথায় রেখে কিছু ক্ষেত্রে উপসংহার টানতে হবে। তার মাঝে চলতি বছরের জুলাইয়ের মধ্যেই “জুলাই সনদ” চূড়ান্ত করার বিষয়ও রয়েছে।

আলী রিয়াজ বলেন, ‘আমাদের এই আলোচনার মাধ্যমে একটা জায়গায় আসতে হবে। একধরনের উপসংহার টানতে হবে, কারণ সময়ের স্বল্পতার বিবেচনায় আমরা জুলাই মাসের মধ্যে যেই সনদ তৈরি করতে চাচ্ছি, সেই সনদে কোনটা অন্তর্ভুক্ত থাকবে- কোনটা থাকবে না; সেটা আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’


বিজ্ঞাপন


তিনি আরও বলেন, ‘আলোচনায় যেগুলো থাকবে না, যেগুলোতে ঐক্যমত হবে না, সেগুলো লিখিত থাকবে যে- এগুলো আলোচিত হয়েছে, কিন্তু একমত হওয়া যায়নি। সেই কাঠামোর দিক থেকে আমাদের আজকের আলোচনা। আমরা আশা করছি, আমাদের অভিষ্ট জাতীয় সনদ, সেই সনদ তৈরির ক্ষেত্রে অগ্রসর হতে পারব।’

‘আজকের বৈঠকে যে বিষয়গুলো আমরা নির্ধারণ করেছি, সেটা হলো যে- সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ, নিম্ন কক্ষের নারী আসন, স্থায়ী কমিটিসমূহ এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ক্ষেত্রে তার মেয়াদ এবং তার কার্য্করী পরিধির একটি অংশ-এগুলো নিয়ে আমরা কথা বলব’ বলেন তিনি।

আরও পড়ুন-

এপ্রিলের মধ্যেই নির্বাচন চায় জামায়াত

এর আগে সোমবার (২ জুন) বিকেলে দ্বিতীয় দফায় রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি- এনসিপিসহ প্রায় ৩০ দল অংশগ্রহণ করেন।

ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সর্বদলীয় বৈঠক শেষে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, জুলাই সনদের পর জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে হবে। তার আগে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা ঠিক হবে না।

অন্যদিকে সংলাপ শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমরা মনে করি, ডিসেম্বরের ভেতরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান করা সম্ভব। আগেই জরুরি ভিত্তিতে যেসব সংস্কার করা প্রয়োজন, বিশেষ করে নির্বাচনমুখী, সে সংস্কারগুলোকে চিহ্নিত করে আমরা ঐকমত্যের মাধ্যমে সেগুলো বাস্তবায়ন করি। এমন কোনো সংস্কার নেই, যেগুলো এক মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না।’

প্রধান উপদেষ্টা জুনের ৩০ তারিখের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করার কথা বারবার বললেও, জামায়াতে ইসলামী বলছে, নির্বাচন এপ্রিলের পরে যাওয়া ঠিক না। 

মঙ্গলবার রাজধানীতে ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে আমরা আমাদের অবস্থান এর আগেও পরিষ্কার করেছি। নির্বাচন ফেব্রুয়ারির মধ্যে হতে পারে। রোজার আগে আগে। কোনো কারণে যদি এসব শর্ত পূরণ করতে গিয়ে দেরি হয়ে যায় সেক্ষেত্রে এপ্রিল পার না হওয়াটা ভালো হবে।’

ইএ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর