কোরবানির ঈদ সামনে রেখে বাজারে অসুস্থ বা কৃত্রিমভাবে মোটাতাজা করা গবাদিপশু বিক্রি ঠেকাতে বিশেষ নজরদারি শুরু করেছে র্যাব। রাসায়নিক ও ইনজেকশন পুশ করে পশু মোটাতাজা করা, কিংবা অসুস্থ পশু হাটে তোলা— এসব কর্মকাণ্ড রোধে মাঠে কাজ করছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত ও গোয়েন্দা টিম।
মঙ্গলবার (৩ জুন) দুপুরে কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার এ জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরী।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, অসুস্থ গবাদিপশু কিংবা ইনজেকশন দিয়ে অস্বাভাবিকভাবে মোটাতাজা করা পশু চিহ্নিত করতে পশু চিকিৎসকদের সহায়তা নিচ্ছে র্যাব। শনাক্ত হলে সঙ্গে সঙ্গে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়, গরুর হাটে অতিরিক্ত হাসিল আদায় রোধে সিটি করপোরেশন ও স্থানীয় সরকার নির্ধারিত চার্ট দৃশ্যমানভাবে টানানোর বিষয়েও তদারকি থাকবে। কেউ নির্ধারিত হারের চেয়ে বেশি হাসিল আদায় করলে, র্যাবের ম্যাজিস্ট্রেট তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেবে।
র্যাবের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, কোরবানির হাটকে কেন্দ্র করে চাঁদাবাজি বা একটি হাটের গরু অন্য হাটে জোর করে নামিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ঠেকাতেও গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।
র্যাবের কর্মকর্তারা হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের আশ্বস্ত করে বলেন, যেকোনো অভিযোগ র্যাব কন্ট্রোল রুমে জানানো হলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি প্রতিটি পশুবাহী গাড়ি ও হাটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে র্যাব সদস্যরা নিয়মিত টহলে থাকবেন।
বিজ্ঞাপন
কোরবানির ঈদ ঘিরে যাতে ভোক্তারা প্রতারিত না হন এবং স্বাস্থ্যঝুঁকিতে না পড়েন, সে লক্ষ্যে র্যাব এবার শুরু থেকেই ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে কাজ করছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
এমআইকে/এইউ